সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার ঘটনায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে কিলিং মিশনের নায়কের পাশাপাশি ‘প্ল্যানমেকার’ বলছে পুলিশ।সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছে বাবু চেয়ারম্যান এখন সেই প্রশ্ন উঠেছে বাবু চেয়ারম্যান যদি ‘প্ল্যানমেকার’ হয় তাহলে। মাস্টারমাইন্ড কে?
সাংবাদিক নাদিম হত্যার পরিকল্পনা একদিনের নয়? এটাযে অনেক দিনের পরিকল্পনা তা এলাকাবাসী ও তার সহকর্মীদের কাছ থেকে জানা যায়। অনেকের মতে ক্ষমতাধর ব্যক্তিও রয়েছেন। যার গ্রীন সিগনালেই খুন হন সাংবাদিক নাদিম। পুলিশ যদি আন্তরিক হন তাহলেই বেড়িয়ে আসবে খুনের আসল ঘটনা। ঘটনার পর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু’র কল লিষ্ট ও কল বয়েস নিলে আসল রহস্য বেড়িয়ে আসবে।
যুদ্ধাপরাধী বাবুল চিশতি ওবং যুদ্ধাপরাধীর সন্তান সহ বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগমের বিরুদ্ধে একাত্তর টিভিতে চাঞ্চল্যকর সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন সাংবাদিক নাদিম।সেসময়েও তার ওপরে হামলা করা হয়। সেই হামলার বিচার হয়নি নিরাপত্তা পায়নি সাংবাদিক নাদিম।আগের ঘটনায় যথাযথভাবে বিচার হলে হয়তো এভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হতে হতো না।
স্বাধীনতা শক্তির পক্ষের সরকার এসকল বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন এমনটা ভেবেই নাদিম বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন করেছিল কিন্তু কাল হয়ে দাঁড়াল তাঁর সত্য প্রকাশ। মৃত্যু তাকে হাতছানি দিয়ে আমাদের কাছ থেকে একজন সহকর্মী হাড়াতে হল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিক বান্ধব হলেও অধিকাংশ চেলা চামুণ্ডা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে ব্যতিব্যস্থ। সাংবাদিকরা সুরক্ষা চায়, নিরাপত্তা চায়, স্বাধীন ভাবে মত প্রকাশ করতে চায় কিন্তু দেশ ও জনগণের স্বার্থে সাংবাদিকদের জন্য কোন নিয়ম নীতিমালা না থাকায় বিপর্যস্থ পর্যুদস্ত হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে,সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিম তাঁর প্রাণের নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে আকুতি জানাচ্ছেন। সেই আকুতিও ব্যর্থ প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে এসেছে।
পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একের পর এক সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হবেন,এটিই কি দেখে যেতে হবে আমাদের? একজন সাংবাদিক প্রাণের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেও বাঁচতে পারেননি।
একদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হবে,তারা সাংবাদিকদের সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর,অন্যদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে একজন সাংবাদিক হত্যার শিকার হবেন, এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
সাংবাদিক সাগর রুনি হত্যার কিনারা হয়নি এখনো। রুই কাতলা মাফিয়ারা আড়ালেই আছে। হয়তো সাংবাদিক নাদিম হত্যার মাস্টার মাইন্ডরাও এক সময় পর্দার আড়ালেই থেকে যাবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি স্বাক্ষীর জবানবন্ধি ১৬৪ ধারায় গ্রহন করার দাবী উঠেছে সচেতন মহলের।
জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিক সমাজ গোলাম রব্বানি হত্যার প্রতিবাদ করেছে। কর্মসূচি নিয়েছে। বিএমইউজে সভাপতি সোহেল আহমেদ সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক খান বলেন গোলাম রাব্বানি হত্যার সঙ্গে জড়িত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জরিত অন্যান্যদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। মামলাটি দ্রুত বিচার আইনে বিশেষ ট্রাইবুনালে বিচার কার্য সম্পন্ন করা হউক।
বিচারের বাণী যেন নিভৃতে না কাঁদে।
সাংবাদিক নাদিমের হত্যাকান্ডটি পৈশাচিক এবং নারকীয়। তিন দিন টানা অভিযান চালিয়ে ১২ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। ইতিমধ্যেই নাদিমের স্ত্রী ২২ জনকে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
নাদিম হত্যা মামলা দ্রুত বিচার আইনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে সারাদেশের ন্যায় ময়মনসিংহে ডিআইজি রেঞ্জ অফিসের সামনে মানববন্ধন রবিবার (১৮ জুন) সকাল ১১টায় ময়মনসিংহে সকল সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএমইউজে )