ঢাকা ০৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে সুখবর জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার দিলেন ইউএনও টঙ্গীতে সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনের ফাঁসীর দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মমিন মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে লেক ভিউ আবাসিক হোটেলের নামে চলছে নারী জুয়া ও মাদক ব্যবসা যাত্রাবাড়িতে দেহব্যবসার মহারানী রেখার রঙিন জগৎ ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ কেবল শিল্প কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন উত্তরায় চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করছেন ইমরান খান নন্দনপুর সরকারি রাস্তা কেটে ইট পোড়াচ্ছেন আজাদ ব্রিকসের মালিক ইসহাক সরদার জামাই-শশুর মিইল্লা পদ্মা অয়েল খাইল গিল্লা! বখতিয়ারের কোটি টাকার রহস্য কী?

রাজশাহীর পবায় সংস্কারের নামে ফসলি জমিতে পুকুর খননের অভিযোগ

রাজশাহীর পবা উপজেলার দুর্গাপারিলা গ্রামের একটি ছোট বিলে সংস্কারের নামে তিন ফসলী জমিতে পুকুর খননের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে পুকুর খনন বন্ধে স্থানীয় কৃষকরা পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পবা থানার দুর্গাপারিলা গ্রামের বিলে তিন ফসলী প্রায় ১৫০ বিঘা চাষাবাদের জমি রয়েছে। বিলের উত্তর পাশ দিয়ে জমির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ছিল। পাশেই রয়েছে ছোট একটি পুকুর। বর্তমান ওই পুকুরটি এলাকার জামাল হোসেন, নুরুজ্জামানসহ কয়েকজন ব্যক্তি সংস্কার করছেন।

কিন্তু পুরোনো পুকুরটি সংস্কারের নামে তারা তিন ফসলী জমি সীমানা করে পাড় দেয়া শুরু করেছে। এতে দেখা দেখা যায়, পুকুরের পাড়ের বাঁধের কারণে ১৫০ বিঘা সম্পত্তির পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে জলবদ্ধতার সৃষ্টি করবে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেলে স্থানীয় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা রয়েছে। এছাড়াও কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়বে জেনেও পুকুর খননকারীরা প্রভাব খাটিয়ে পুকুরটি খননের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পুকুর খননে বাধা দেয়ায় রীতিমত জমির মালিক ও স্থানীয় কৃষকদের হুমকি ধামকি দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগকারী ওই বিলের জমির মালিক রুহুল আমীন বলেন, পুকুরটি সংস্কার করলে কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু এখন পুকুরটি সংস্কারের নামে আশপাশে আরো ১২ থেকে ১৫ বিঘা জমি সীমানা করে বড় আকারে পুকুরটি খনন করা হচ্ছে। এতে পুকুরটির পূর্ব ও দক্ষিন পাশের কৃষকদের পুরো জমি জলাবদ্ধার সৃষ্টি হবে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকলে ওই বিলের প্রায় দেড়শ বিঘা জমি পতিত হয়ে পড়বে। এসব জমিতে কোনো ফসল আর হবে না। এতে জমির মালিকরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে। তবে পুকুর খননকারীরা বলছেন, তারা পুরাতন পুকুরটি সংস্কার করছেন। এতে পূর্ব ও দক্ষিন পাশের কিছু জমি পাড় দেয়ার জন্য বাড়ানো হয়েছে। এতে কোনো ক্ষতি হবে না বলেও তারা বন্তব্য করেন।

এব্যাপারে পবা উপজেলার এসিল্যান্ড অভিজিত সরকার জানান, পুকুর খননের ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পর পুকুর খনন বন্ধ রাখা হয়েছে। সরজমিন পরিদর্শন করে এব্যাপারে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে সুখবর

রাজশাহীর পবায় সংস্কারের নামে ফসলি জমিতে পুকুর খননের অভিযোগ

আপডেট সময় ১১:৫৯:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩

রাজশাহীর পবা উপজেলার দুর্গাপারিলা গ্রামের একটি ছোট বিলে সংস্কারের নামে তিন ফসলী জমিতে পুকুর খননের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে পুকুর খনন বন্ধে স্থানীয় কৃষকরা পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পবা থানার দুর্গাপারিলা গ্রামের বিলে তিন ফসলী প্রায় ১৫০ বিঘা চাষাবাদের জমি রয়েছে। বিলের উত্তর পাশ দিয়ে জমির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ছিল। পাশেই রয়েছে ছোট একটি পুকুর। বর্তমান ওই পুকুরটি এলাকার জামাল হোসেন, নুরুজ্জামানসহ কয়েকজন ব্যক্তি সংস্কার করছেন।

কিন্তু পুরোনো পুকুরটি সংস্কারের নামে তারা তিন ফসলী জমি সীমানা করে পাড় দেয়া শুরু করেছে। এতে দেখা দেখা যায়, পুকুরের পাড়ের বাঁধের কারণে ১৫০ বিঘা সম্পত্তির পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে জলবদ্ধতার সৃষ্টি করবে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেলে স্থানীয় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা রয়েছে। এছাড়াও কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়বে জেনেও পুকুর খননকারীরা প্রভাব খাটিয়ে পুকুরটি খননের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পুকুর খননে বাধা দেয়ায় রীতিমত জমির মালিক ও স্থানীয় কৃষকদের হুমকি ধামকি দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগকারী ওই বিলের জমির মালিক রুহুল আমীন বলেন, পুকুরটি সংস্কার করলে কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু এখন পুকুরটি সংস্কারের নামে আশপাশে আরো ১২ থেকে ১৫ বিঘা জমি সীমানা করে বড় আকারে পুকুরটি খনন করা হচ্ছে। এতে পুকুরটির পূর্ব ও দক্ষিন পাশের কৃষকদের পুরো জমি জলাবদ্ধার সৃষ্টি হবে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকলে ওই বিলের প্রায় দেড়শ বিঘা জমি পতিত হয়ে পড়বে। এসব জমিতে কোনো ফসল আর হবে না। এতে জমির মালিকরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে। তবে পুকুর খননকারীরা বলছেন, তারা পুরাতন পুকুরটি সংস্কার করছেন। এতে পূর্ব ও দক্ষিন পাশের কিছু জমি পাড় দেয়ার জন্য বাড়ানো হয়েছে। এতে কোনো ক্ষতি হবে না বলেও তারা বন্তব্য করেন।

এব্যাপারে পবা উপজেলার এসিল্যান্ড অভিজিত সরকার জানান, পুকুর খননের ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পর পুকুর খনন বন্ধ রাখা হয়েছে। সরজমিন পরিদর্শন করে এব্যাপারে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।