ঢাকা ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঘুষের টাকায় ‘মুন ভিলা’! রাজউকের প্রকৌশলীর সম্পদে চমক অবৈধ ভবন নির্মাণে চিরস্থায়ী প্রথা এখনো বহাল  দুদকের উপ-পরিচালক মাহবুব এর শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ যশোর রেস্টহাউজে অনৈতিক কর্মকান্ডে স্থানীয়দের হাতে লাঞ্ছিত ওসি সাইফুল কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে কম্পিউটার ও যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক সংগঠনের স্বঘোষিত সভাপতি সিদ্দিকুরের ঘুষ-বদলি ও কমিশন বাণিজ্য রাজশাহীর সমাজসেবা পরিচালক মোস্তাক হাসানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ বড়লেখায় সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মজিদ মিয়ার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ সুয়াগাজীতে অনুমোদন ছাড়াই কেয়ার প্লাস মেডিকেল সেন্টার উদ্ভোধন ডিপিডিসির মিটার রিডারের বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ

মজুত চিনি বাজারে ছাড়তে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

চিনির বাজার স্থিতিশীল করতে মিল মালিক, রিফাইনারি প্রতিষ্ঠান ও পাইকারদের কাছে মজুত চিনি বাজারে ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

সোমবার (২৪ অক্টোবর) চিনিসহ নিত্যপণ্যের বিষয়ে বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ তথ্য জানান। বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, প্রতিযোগিতা কমিশন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সরকারি কয়েকটি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

চাহিদার তুলনায় সরবরাহে ঘাটতির অজুহাতে হঠাৎ অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে দেশের চিনির বাজার। সংক‌টের কথা ব‌লে সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চি‌নি। অ‌নেক এলাকায় প্যাকেটের চিনি উধাও হ‌য়ে গে‌ছে। ‌ত‌বে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বল‌ছে চা‌হিদা অনুযায়ী দে‌শে পর্যাপ্ত চি‌নি আমদানি হ‌য়ে‌ছে, সংকট হওয়ার কো‌নো কারণ নেই।

এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংকটের কথা বলে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে খোলা চিনির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। আর প্যাকেটজাত চিনি অনেক এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না। ক্রেতারা বলছেন, জনগণকে জিম্মি করে ব্যবসায়ীরা খেলায় মেতেছেন। তারা সরকারের কোনো নিয়ম-নীতি মানছেন না। নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। আর ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটের কারণে চিনির উৎপাদন কমেছে। যে কারণে বাজারে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

গত ৬ অক্টোবর সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খোলা চিনি ৯০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ৯৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু তা বাস্তবে কার্যকর হয়নি। বরং এখন উল্টো দাম বাড়ছে।

সরকারি তথ্য মতে, দেশে চাহিদার বড় একটি অংশ মেটানো হয় আমদানি করা চিনির মাধ্যমে। এই চিনি আমদানি হয় মূলত সিটি, মেঘনা, এস আলম, ইগলু ও দেশবন্ধু গ্রুপের মাধ্যমে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঘুষের টাকায় ‘মুন ভিলা’! রাজউকের প্রকৌশলীর সম্পদে চমক

মজুত চিনি বাজারে ছাড়তে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

আপডেট সময় ০৩:০২:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২

চিনির বাজার স্থিতিশীল করতে মিল মালিক, রিফাইনারি প্রতিষ্ঠান ও পাইকারদের কাছে মজুত চিনি বাজারে ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

সোমবার (২৪ অক্টোবর) চিনিসহ নিত্যপণ্যের বিষয়ে বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ তথ্য জানান। বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, প্রতিযোগিতা কমিশন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সরকারি কয়েকটি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

চাহিদার তুলনায় সরবরাহে ঘাটতির অজুহাতে হঠাৎ অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে দেশের চিনির বাজার। সংক‌টের কথা ব‌লে সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চি‌নি। অ‌নেক এলাকায় প্যাকেটের চিনি উধাও হ‌য়ে গে‌ছে। ‌ত‌বে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বল‌ছে চা‌হিদা অনুযায়ী দে‌শে পর্যাপ্ত চি‌নি আমদানি হ‌য়ে‌ছে, সংকট হওয়ার কো‌নো কারণ নেই।

এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংকটের কথা বলে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে খোলা চিনির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। আর প্যাকেটজাত চিনি অনেক এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না। ক্রেতারা বলছেন, জনগণকে জিম্মি করে ব্যবসায়ীরা খেলায় মেতেছেন। তারা সরকারের কোনো নিয়ম-নীতি মানছেন না। নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। আর ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটের কারণে চিনির উৎপাদন কমেছে। যে কারণে বাজারে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

গত ৬ অক্টোবর সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খোলা চিনি ৯০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ৯৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু তা বাস্তবে কার্যকর হয়নি। বরং এখন উল্টো দাম বাড়ছে।

সরকারি তথ্য মতে, দেশে চাহিদার বড় একটি অংশ মেটানো হয় আমদানি করা চিনির মাধ্যমে। এই চিনি আমদানি হয় মূলত সিটি, মেঘনা, এস আলম, ইগলু ও দেশবন্ধু গ্রুপের মাধ্যমে।