সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের জনশিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ভাবনা নিয়ে বিশেষজ্ঞ বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ বিশেষজ্ঞ বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষজ্ঞ বক্তৃতা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আআমস আরেফিন সিদ্দিক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব মো. কামরুজ্জামান।
বিশেষজ্ঞ বক্তার বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালিদের একটি স্বাধীন, সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র দিয়েছেন। পাকিস্তানিদের শোষণ ও বঞ্চনার শিকল থেকে মুক্ত করে বঙ্গবন্ধু দ্রুত সুখী, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার তরিৎ পদক্ষেপ শুরু করেন। বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছিলেন অর্থনৈতিক উন্নয়নের পেছনের মূল ভিত হলো স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাত। সুখী-সমৃদ্ধ, উন্নত দেশ গড়তে হলে প্রয়োজন শিক্ষিত ও স্বাস্থ্যবান জাতি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে তিনি গ্রহণ করেছিলেন সব রাজনৈতিক কর্মসূচী এবং রাষ্ট্রীয় নীতিমালা।
প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী জনাব কেএম খালিদ বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিতে হবে। এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে যাতে নৌকাকে বিজয়ী করা যায় সে জন্য জনগণের কাছে যেতে হবে। মনোনয়ন পেলেই এমপি হওয়া যাবে সেই চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিতে হবে। বিএনপি জামায়াত জোট ক্ষমতায় এলে দেশে অন্ধকার নেমে আসবে। চারদিকে হত্যাযজ্ঞ শুরু করবে। তাই স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিহত করতে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে।