বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের শিবচর উপজেলা ও পৌর শাখার ত্রি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এমপি। সম্মেলনে শিবচর উপজেলা শাখার সভাপতি পদে জেনিফার ফেরদৌস ও সাধারন সম্পাদক পদে মাহফুজা জোসনা এবং পৌরসভা শাখার সভাপতি পদে শিল্পী আক্তার ও সাধারন সম্পাদক পদে মলি রায় এর নাম ঘোষনা করা হয়।
জানা যায়, শনিবার বিকেলে পৌরসভার চৌধুরী ফাতেমা বেগম অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের শিবচর উপজেলা ও পৌরসভার ত্রি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী। সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এমপি। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারন সম্পাদক শবনম জাহান শিলা এমপি। এসময় নাহিদ ইজাহার খান এমপি, মাদারীপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ আ: লতিফ মোল্লা, পৌর মেয়র মো: আওলাদ হোসেন খান, আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেমউদ্দিন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান মোল্লা, সাধারন সম্পাদক ডা: মো: সেলিম, পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে উপজেলা শাখার সভাপতি পদে জেনিফার ফেরদৌস ও সাধারন সম্পাদক পদে মাহফুজা জোসনাসহ ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা করা হয়। অপরদিতে পৌর শাখার সভাপতি পদে শিল্পী আক্তার ও সাধারন সম্পাদক পদে মলি রায়সহ ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিবচর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মায়া বেগম। সম্মেলন শেষে স্থানীয় ও ঢাকা থেকে আগত শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। রাত পর্যন্ত অতিথিরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়ার যে কাজ করে যাচ্ছেন, উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যে চেষ্টা করছেন সেই আলোকে বাংলাদেশের সকল মানুষকে সম্পৃক্ত করেই এই দেশকে উন্নত করা হচ্ছে। বাংলাদেশের বৃহৎ একটি অংশ মহিলা। সে জন্যই মহিলাদের বাদ দিয়ে কখনোই একটি দেশ উন্নত হতে পারে না। মহিলাদেরকে যদি আমরা রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক বিষয়ে সম্পৃক্ত করতে না পারি তাহলে আমরা উন্নত বাংলাদেশ পাবো না। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে মহিলা বৃদ্ধি করেছেন। স্পীকার, মন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী, সংসদ নেতা, উপনেতাসহ বিভিন্ন জায়গায় তিনি মহিলাদের কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন। সচিব, পাইলট, পুলিশসহ বিভিন্ন স্থানে মহিলাদের অগ্রাধিকার দিয়েছেন। গ্রাম গঞ্জের মহিলাদেরকেও সম্পৃক্ত করতে জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদে মহিলা কোটা রেখেছেন। বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বার্থে তিনি এভাবেই সকল স্থানে মহিলাদের সম্পৃক্ত করেছেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, সামনে নির্বাচন, ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ষড়যন্ত্র সব সময়েই ছিল। বঙ্গবন্ধুকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বারবার ক্ষমতার পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন আর তা সম্ভব না। যে যত কথাই বলুক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আগামী নির্বাচন হবে। সংবিধানে আলোকেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।