ঢাকা ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয় ইমরান খানের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালানোর শঙ্কা জবির ৯ শিক্ষকসহ ২৫৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা উপ-রাষ্ট্রপতি পদ ফেরাতে চায় বিএনপি, আগে কারা ছিলেন? বঞ্চিত ক্রীড়া সংগঠকদের মাঠে ফিরিয়ে আনতে চাই : আমিনুল হক বিহারী মুরাদ দিদার এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র মঠবাড়িয়ার সাপলেজা ইউনিয়নে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সংঘাত অস্থিরতার দায় সরকার এড়াতে পারে না: এবি পার্টি ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের’ মাহবুবুলসহ ১৮ জন কারাগারে রংপুর জেলায় বিএসটিআই’র সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা

রাশিয়ার দখলে বাখমুত, সৈন্যদের পুরস্কার দিবেন পুতিন

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় বাখমুত শহর পুরোপুরি দখলে নিয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। শনিবার, ২০ মে মস্কো এই দাবি করে। এতে করে বাখমুতে টানা কয়েক মাসের দীর্ঘ এবং রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া বাখমুত দখলে নিয়োজিত সেনাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে পুরস্কারের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। রোববার, ২১ মে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনের ধ্বংসপ্রাপ্ত শহর বাখমুত পুরোপুরি দখল করা হয়েছে বলে শনিবার দাবি করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের বৃহৎ এই সমতল শহরটিতে হামলার নেতৃত্বে ছিল রুশ ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের সৈন্যরা।

ওয়াগনার গ্রুপের নেতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন আগেই বলেছিলেন, তার সৈন্যরা শেষ পর্যন্ত শহরের অভ্যন্তরে সর্বশেষ এলাকা থেকে ইউক্রেনীয়দের সরিয়ে দিয়েছে। পরে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও এই দাবি সামনে আনে।

রয়টার্স বলছে, সোভিয়েত আমলে বাখমুতের নাম ছিল আর্টিওমভস্ক। বাখমুতের দখল গত ১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে সংঘাতে মস্কোর প্রথম বড় বিজয় হিসেবে মনে করা হচ্ছে। মূলত মাসের পর মাস ধরে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় এই শহর দখলে নিতে লড়াই চালিয়ে গেছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। তাই এই শহরের দখল রাশিয়ার জন্য বিরল সাফল্য বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।

বাখমুতের দখল নিয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক লাইনের বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘ওয়াগনার অ্যাসল্ট ইউনিটের আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের ফলে এবং আর্টিলারি ও সাউদার্ন গ্রুপ অব ফোর্সের বিমান হামলার মাধ্যমে আর্টিওমভস্ককে মুক্তির কাজ সম্পন্ন হয়েছে।’

বাখমুত দখল নিয়ে ওয়াগনার গ্রুপের নেতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন যে মন্তব্য করেছিলেন সেটি শনিবার দিনের শুরুর দিকে অস্বীকার করেছিল ইউক্রেন। তবে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় এই শহর দখলে নেওয়া নিয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যের পর ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

এদিকে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের এই শহরটি দখল করার জন্য সৈন্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, এই লড়াইয়ে অংশ নিয়ে যারা অন্যদের চেয়ে নিজেদের আলাদা করেছে তাদের পুরস্কার দেওয়া হবে।

এর আগে রাশিয়ার পতাকা এবং ওয়াগনার ব্যানারধারী যোদ্ধাদের সামনে দাঁড়িয়ে শনিবার এক ভিডিওবার্তায় ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বলেন, ‘আজ দুপুর ১২টায় বাখমুত শহরকে সম্পূর্ণভাবে দখলে নেওয়া হয়েছে। আমরা শহরের প্রতিটি ঘর ও স্থাপনা দখল করে নিয়েছি।’

প্রিগোজিনের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইউক্রেনের সামরিক মুখপাত্র সের্হি চেরেভাতি রয়টার্সকে বলেছিলেন: ‘এটি সত্য নয়। আমাদের ইউনিট বাখমুতে যুদ্ধ করছে।’

তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাখমুত দখলের ঘোষণা দেওয়ার পরে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

আমাদের মাতৃভূমি/মাজহারুল

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয়

রাশিয়ার দখলে বাখমুত, সৈন্যদের পুরস্কার দিবেন পুতিন

আপডেট সময় ১১:৪৮:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় বাখমুত শহর পুরোপুরি দখলে নিয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। শনিবার, ২০ মে মস্কো এই দাবি করে। এতে করে বাখমুতে টানা কয়েক মাসের দীর্ঘ এবং রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া বাখমুত দখলে নিয়োজিত সেনাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে পুরস্কারের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। রোববার, ২১ মে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনের ধ্বংসপ্রাপ্ত শহর বাখমুত পুরোপুরি দখল করা হয়েছে বলে শনিবার দাবি করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের বৃহৎ এই সমতল শহরটিতে হামলার নেতৃত্বে ছিল রুশ ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের সৈন্যরা।

ওয়াগনার গ্রুপের নেতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন আগেই বলেছিলেন, তার সৈন্যরা শেষ পর্যন্ত শহরের অভ্যন্তরে সর্বশেষ এলাকা থেকে ইউক্রেনীয়দের সরিয়ে দিয়েছে। পরে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও এই দাবি সামনে আনে।

রয়টার্স বলছে, সোভিয়েত আমলে বাখমুতের নাম ছিল আর্টিওমভস্ক। বাখমুতের দখল গত ১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে সংঘাতে মস্কোর প্রথম বড় বিজয় হিসেবে মনে করা হচ্ছে। মূলত মাসের পর মাস ধরে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় এই শহর দখলে নিতে লড়াই চালিয়ে গেছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। তাই এই শহরের দখল রাশিয়ার জন্য বিরল সাফল্য বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।

বাখমুতের দখল নিয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক লাইনের বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘ওয়াগনার অ্যাসল্ট ইউনিটের আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের ফলে এবং আর্টিলারি ও সাউদার্ন গ্রুপ অব ফোর্সের বিমান হামলার মাধ্যমে আর্টিওমভস্ককে মুক্তির কাজ সম্পন্ন হয়েছে।’

বাখমুত দখল নিয়ে ওয়াগনার গ্রুপের নেতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন যে মন্তব্য করেছিলেন সেটি শনিবার দিনের শুরুর দিকে অস্বীকার করেছিল ইউক্রেন। তবে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় এই শহর দখলে নেওয়া নিয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যের পর ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

এদিকে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের এই শহরটি দখল করার জন্য সৈন্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, এই লড়াইয়ে অংশ নিয়ে যারা অন্যদের চেয়ে নিজেদের আলাদা করেছে তাদের পুরস্কার দেওয়া হবে।

এর আগে রাশিয়ার পতাকা এবং ওয়াগনার ব্যানারধারী যোদ্ধাদের সামনে দাঁড়িয়ে শনিবার এক ভিডিওবার্তায় ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বলেন, ‘আজ দুপুর ১২টায় বাখমুত শহরকে সম্পূর্ণভাবে দখলে নেওয়া হয়েছে। আমরা শহরের প্রতিটি ঘর ও স্থাপনা দখল করে নিয়েছি।’

প্রিগোজিনের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইউক্রেনের সামরিক মুখপাত্র সের্হি চেরেভাতি রয়টার্সকে বলেছিলেন: ‘এটি সত্য নয়। আমাদের ইউনিট বাখমুতে যুদ্ধ করছে।’

তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাখমুত দখলের ঘোষণা দেওয়ার পরে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

আমাদের মাতৃভূমি/মাজহারুল