বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, শিল্প মন্ত্রী কামাল মজুমদার বলেছেন, শেয়ার মার্কেট যে লুট করে সে নাকি এই সরকারের ক্ষমতাসীন ব্যক্তি। বুঝছেন তো কার কথা বলেছেন, হুজুরের কথা বলছেন, এটাও বলছে,যে এই সরকারের মধ্যে ব্যবসায়ীদের এটা সিন্ডিকেট আছে।যাদের কারণে জিনিসের দাম বাড়ে। কি বলছেন শুনেন, বানিজ্য মন্ত্রী একজন ব্যবসায়ী,অর্থ মন্ত্রী একজন ব্যবসায়ী, খাদ্যমন্ত্রীর তার নিজের অটো রাইচ মিল আছে। তো জিনিসের দাম কমবে কিভাবে। তিনি আজ দুপুরে শহরের স্টেশন বাজার রোড়স্থ জামালপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরোও বলেন,আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াবাদুল কাদের নাকি হাত ভেঙে দেবেন, পুড়িয়ে দেবেন। তাহলে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ও নেতার কথা কি মিললো? মিললো না। এজন্য শান্তি সমাবেশের নাম শুনলে একাত্তরের শান্তি বাহিনীর বর্বতার কথা মনে পড়ে যায়।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে অধীনস্ত আদালত এবং সরকারের অবজ্ঞা গায়েবি মামলায় নির্বিচারে গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে জামালপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আপনাদের নেতা কথায় কথায় বলেন, খেলা হবে, কিসের খেলা? এক্কাদোক্কা খেলা নাকি হা-ডু-ডু খেলা, কোন খেলা হবে? লুডু খেলা সম্পর্কে জানেন তো, লুডু খেলায় সবচেয়ে বড় দান হলো ছক্কা। এক ছক্কা মারলে আবার মারতে হয়, আবার ছক্কা পড়লে আবার মারতে হয়, তিনছক্কা পড়লে ফুক্কা।
২০০৮ সালে এক ছক্কা মারছিলেন, আবার নিয়মমতো ২০১৪ তে আরেক ছক্কা মারছিলেন, আবার প্রতারণা করে রাতের বেলা আরেক ছক্কা মারছিলেন ২০১৮তে। তিন ছক্কার কারণে আওয়ামী লীগ এখন ফুক্কা হয়ে গেছে। ওদের মধ্যে এখন আর কিছু নাই। এই তিন ছক্কার খেলোয়াড়দের এখন বিএনপি শেখাবে, বাংলাদেশের মানুষ শেখাবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আপনাদের পোষাকে যে মনোগ্রাম সেখানে বাংলাদেশ পুলিশ লেখা আছে। আওয়ামী পুলিশ লেখা নেই, বিএনপি পুলিশও লেখা নেই। লেখা আছে বাংলাদেশের ডিবি, বাংলাদেশের সিআইডি। কোনো দলের না। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবার। একটা কথা মনে রাখবেন, তালিকা ধরে ধরে ঘরে ঘরে গ্রেপ্তার করেন, কারাগারে পাঠান, সেই তালিকা বেশিদিন করতে পারবেন না। এমন নিশ্চয়তা আপনাদের কেউ দেয় নাই। আমরাও বেছে বেছে তালিকা ধরে ধরে জনতার আদালতে হাজির করা হবে।
জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জন সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এড. শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন, জলবায়ু বিষয়ক সহসম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সদস্য সাবেক এমপি সুলতান মাহমুদ বাবু, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্মসম্পাদক শহীদুল হক খান দুলাল প্রমুখ।
আমাদের মাতৃভূমি/মাজহারুল