বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার। তিনি ২০১৯ সালে ফেনীর নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার সময় সেখানকার এসপি ছিলেন। সে সময় ফেনী থেকে প্রত্যাহার করে তাকে পুলিশ সদরদপ্তরে আনা হয়েছিল।
বুধবার (৩ মে) তাকে নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর চিঠি দিয়েছে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়। চিঠিতে এসপি জাহাঙ্গীর আলম সরকারকে রাষ্ট্রপতির এপিএস হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকারের এ পদে পদায়নের জন্য সানুগ্রহে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন।
এর আগে সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের এপিএস হিসেবে এ পদে ছিলেন নাহীদ পারভীন।
এ বছরের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. সাহাবুদ্দিন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি তাকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করার প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। মুক্তিযোদ্ধা ও মাঠপর্যায়ের রাজনীতিবিদ মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৪৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পাবনা শহরের শিবরামপুরের জুবিলী ট্যাংকপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
তার এপিএস হিসেবে নিয়োগ পেতে যাওয়া জাহাঙ্গীর আলম সরকার বাংলাদেশ পুলিশের বিসিএস ২২ ব্যাচের কর্মকর্তা। ২০১৯ সালে ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফির যৌন নিপীড়নের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তাকে ফেনীর দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদরদপ্তরে যুক্ত করা হয়েছিল। আলোচিত সেই হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক এস এম রুহুল আমিনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়। ওই কমিটির প্রতিবেদনে ফেনীর এসপি জাহাঙ্গীর ‘দেরিতে ঘটনাস্থলে যান’ এবং ‘সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নেননি’ বলে উল্লেখ করা হয়।