এপ্রিল মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ২৭২ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
এ সময় চোরাচালানে জড়িত ১৩৭ জন চোরাচালানি এবং অবৈধ সীমান্ত পারাপারের কারণে ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ৮ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে বিজিবি জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৩৩ কেজি ৭৯৯ গ্রাম স্বর্ণ, ১৬ কেজি ৯৮৫ গ্রাম রূপা, ২ লাখ ৯৭ হাজার ৪৩টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৯ হাজার ৬৫৬টি ইমিটেশন গহনা, ২৬ হাজার ৯৪৩টি শাড়ি, ৯ হাজার ৩২৭টি থ্রিপিস, শার্টপিস, চাদর, কম্বল, ৫ হাজার ৪১৭টি তৈরি পোশাক, ৩ হাজার ৩৯০ ঘনফুট কাঠ, ৩ হাজার ৩৯৭ কেজি চা পাতা, ৭৫ হাজার ৪৯০ কেজি কয়লা, ২ হাজার ১৯৮ কেজি কারেন্ট বা সুতার জাল, ৩টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৪টি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, ৬টি পিকআপ, ১৩টি প্রাইভেটকার, ২৪টি সিএনজি, ইজিবাইক এবং ৭৪টি মোটরসাইকেল।
অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২টি পিস্তল, ১টি বন্দুক, ৪টি ম্যাগাজিন, ৩টি সকল প্রকার গান, ৩১টি পেট্রোল বোমা এবং ১১ রাউন্ড গুলি।
এছাড়াও গত মাসে বিজিবি বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করে। জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১১ লাখ ১ হাজার ৬১৯ পিস ইয়াবা, ২৬ কেজি ৪১৮ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১৯ কেজি ৯০৫ গ্রাম হেরোইন, ২৩ হাজার ৪৩৭ বোতল ফেনসিডিল, ২২ হাজার ৯০৩ বোতল বিদেশি মদ, ৪ হাজার ৮৫৯ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৮৪৩ কেজি গাঁজা, ৫ লাখ ৯৭ হাজার ১৭৫ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ১৯ হাজার ২৯২টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ৬ হাজার ২৪৮টি এ্যানেগ্রা ও সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ৪ হাজার ৭৬৬টি ইস্কাফ সিরাপ, ১ হাজার ১৭৯ বোতল এমকেডিল ও কফিডিল, ১৩ লাখ ২১ হাজার ৫৬ পিস বিভিন্ন প্রকার ঔষধ এবং ২ লাখ ১৫ হাজার ৮৫০টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩৭ জন চোরাচালানিকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ৮ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।