অবাধ, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিষয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতির কথা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। পাশাপাশি মন্ত্রী নির্বাচনে ইইউর পর্যবেক্ষককে স্বাগত জানান।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকার ইইউ ডেলিগেশন প্রধান রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে রাষ্ট্রদূতকে সরকারের প্রতিশ্রুতির কথা জানান।
নির্বাচন কমিশন যেন অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন করতে পারে সেজন্য কমিশনের নেওয়া পদক্ষেপের কথা রাষ্ট্রদূতের কাছে তুলে ধরেন মোমেন। বৈঠকে উভয়পক্ষ ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ–ইইউ সম্পর্ককে সামনের দিনে আরও শক্তিশালী করতে একত্রে কাজ করার বিষয়ে একমত হন তারা।
ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে জানান, ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশ ও ইইউর অবস্থান প্রায় একই রকম। অবাধ, মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও নিয়মমাফিক ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল চায় বাংলাদেশ, যা অঞ্চলের সকলের জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। এতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
বাংলাদেশে অবকাঠামো ও পরিবেশবান্ধব খাতে আরও বিনিয়োগ করতে ইইউকে আহ্বান জানান মোমেন। তিনি বিশেষ করে পরিবেশবান্ধব পরিবহন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তন জনিত অভিযোজন সংক্রান্ত খাতে ইইউর বিনিয়োগ চান।
রাষ্ট্রদূত মন্ত্রীকে জানান, পরিবেশবান্ধব পরিবহন, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের আগ্রহ রয়েছে ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইইবি)। ইইউর ‘গ্লোবাল গেটওয়ে’-এর মাধ্যমে এ বিনিয়োগ করা হবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকে ইউক্রেন সংকট নিয়ে তারা আলোচনা করেন। ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ উদ্বেগ প্রকাশ করে। বাংলাদেশ এ সংকটের সমাধান আহ্বানের পাশাপাশি ইইউর ভূমিকা চান।