ঢাকা ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মাঠে নয়, রাস্তায় দক্ষতা যাচাই করে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার দাবি

একদিনে লিখিত, মৌখিক এবং প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা চালু করেছে বিআরটিএ। সম্প্রতি চালু হওয়া এ পদ্ধতিকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের শুভাংকের ফাঁকি আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ রোড সেফটি ভলান্টিয়ার্স নামে একটি সংগঠন। সংগঠনটির দাবি, দ্রুত লাইসেন্স দিতে গিয়ে লাইসেন্সের সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু দক্ষ ড্রাইভারের সংখ্যা বাড়ছে না। তাই মাঠে নয়, রাস্তায় সরেজমিনে ড্রাইভিং করে দক্ষতা যাচাই করে ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর রুনি মিলনায়তনে নিরাপদে গাড়ি চালানোর বিষয়ে ও গ্র্যাজুয়েটেড ড্রাইভার লাইসেন্সিং সিস্টেম (জিডিএলএস) চালু নিয়ে একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মিয়াজী আলমগীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন,  নিরাপদে গাড়ি চালানোর উপায় হিসেবে আমরা তিন স্তরের ড্রাইভার লাইসেন্সিং পরীক্ষা পদ্ধতি প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছি। এটাকে গ্র্যাজুয়েটেড ড্রাইভার লাইসেন্সিং সিস্টেম (জিডিএলএস) বলা হয়। বিশ্বের অনেক দেশে এ পদ্ধতি চালু আছে।

প্রথমে একজন ব্যক্তিকে শিক্ষানবিস পারমিট (লার্নার্স ড্রাইভিং লাইসেন্স) দেওয়া হবে। তার ইনস্ট্রাক্টর ছাড়া ড্রাইভিং নিষিদ্ধ থাকবে এবং গাড়ির ওপর লাল (এল) চিহ্নিত বোর্ড বসাতে হবে। দ্বিতীয়ত শিক্ষানবিস পাস করার ১ বছরের জন্য একটি সীমাবদ্ধ, প্রবেশনারি (পি) বা অস্থায়ী লাইসেন্সে পাবে এবং গাড়ির ওপর সবুজ (পি) চিহ্নিত বোর্ড বসাতে হবে। এই ১  বছর হাইওয়ে এবং এক্সপ্রেসওয়ের ড্রাইভিং নিষিদ্ধ থাকবে। তৃতীয়ত ১ বছর সফলভাবে গাড়ি চালাবে কোনো প্রকার এক্সিডেন্ট রেকর্ড ছাড়া তারাই শুধুমাত্র একটি সম্পূর্ণ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন।

একই পরীক্ষা দিয়ে মোটর সাইকেল এবং গাড়ির লাইসেন্স পাওয়া বন্ধ করার দাবি জানিয়ে মিয়াজী আলমগীর আলম বলেন, সাইকেল বাস ড্রাইভিং ট্রাক ড্রাইভিং ইত্যাদির জন্য আলাদা ব্যবহারিক পরীক্ষা হতে হবে।

এছাড়া রাস্তার আইন বা নিয়মের জন্য একটি সমন্বিত নির্দেশিকা বা হাইওয়ে কোড প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। যেখানে রাস্তা ব্যবহারকারীদের জন্য তথ্য, পরামর্শ ও নির্দেশিকা থাকবে। হাইওয়ে কোডটি পথচারী গাড়ি, গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি, ঠেলাগাড়ি, রিক্সা সাইকেল, মোটরসাইকেল ইত্যাদির চালকসহ সমস্ত রাস্তা ব্যবহারকারীদের জন্য প্রযোজ্য করতে হবে। হাইওয়ে রোডে রাস্তার চিহ্ন, যানবাহনের চিহ্ন এবং সড়ক নিরাপদ সম্পর্কিত তথ্য থাকবে।

এক্ষেত্রে নিয়মগুলোর ওপর সংশ্লিষ্ট আইনের উল্লেখও অন্তর্ভুক্ত রাখা দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পরিচালকসহ বিভিন্ন ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বোরহানউদ্দিনে খাল পরিস্কার – পরিচ্ছন্নতার অভিযানের উদ্বোধন

মাঠে নয়, রাস্তায় দক্ষতা যাচাই করে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার দাবি

আপডেট সময় ১২:৪৩:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩

একদিনে লিখিত, মৌখিক এবং প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা চালু করেছে বিআরটিএ। সম্প্রতি চালু হওয়া এ পদ্ধতিকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের শুভাংকের ফাঁকি আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ রোড সেফটি ভলান্টিয়ার্স নামে একটি সংগঠন। সংগঠনটির দাবি, দ্রুত লাইসেন্স দিতে গিয়ে লাইসেন্সের সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু দক্ষ ড্রাইভারের সংখ্যা বাড়ছে না। তাই মাঠে নয়, রাস্তায় সরেজমিনে ড্রাইভিং করে দক্ষতা যাচাই করে ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর রুনি মিলনায়তনে নিরাপদে গাড়ি চালানোর বিষয়ে ও গ্র্যাজুয়েটেড ড্রাইভার লাইসেন্সিং সিস্টেম (জিডিএলএস) চালু নিয়ে একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মিয়াজী আলমগীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন,  নিরাপদে গাড়ি চালানোর উপায় হিসেবে আমরা তিন স্তরের ড্রাইভার লাইসেন্সিং পরীক্ষা পদ্ধতি প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছি। এটাকে গ্র্যাজুয়েটেড ড্রাইভার লাইসেন্সিং সিস্টেম (জিডিএলএস) বলা হয়। বিশ্বের অনেক দেশে এ পদ্ধতি চালু আছে।

প্রথমে একজন ব্যক্তিকে শিক্ষানবিস পারমিট (লার্নার্স ড্রাইভিং লাইসেন্স) দেওয়া হবে। তার ইনস্ট্রাক্টর ছাড়া ড্রাইভিং নিষিদ্ধ থাকবে এবং গাড়ির ওপর লাল (এল) চিহ্নিত বোর্ড বসাতে হবে। দ্বিতীয়ত শিক্ষানবিস পাস করার ১ বছরের জন্য একটি সীমাবদ্ধ, প্রবেশনারি (পি) বা অস্থায়ী লাইসেন্সে পাবে এবং গাড়ির ওপর সবুজ (পি) চিহ্নিত বোর্ড বসাতে হবে। এই ১  বছর হাইওয়ে এবং এক্সপ্রেসওয়ের ড্রাইভিং নিষিদ্ধ থাকবে। তৃতীয়ত ১ বছর সফলভাবে গাড়ি চালাবে কোনো প্রকার এক্সিডেন্ট রেকর্ড ছাড়া তারাই শুধুমাত্র একটি সম্পূর্ণ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন।

একই পরীক্ষা দিয়ে মোটর সাইকেল এবং গাড়ির লাইসেন্স পাওয়া বন্ধ করার দাবি জানিয়ে মিয়াজী আলমগীর আলম বলেন, সাইকেল বাস ড্রাইভিং ট্রাক ড্রাইভিং ইত্যাদির জন্য আলাদা ব্যবহারিক পরীক্ষা হতে হবে।

এছাড়া রাস্তার আইন বা নিয়মের জন্য একটি সমন্বিত নির্দেশিকা বা হাইওয়ে কোড প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। যেখানে রাস্তা ব্যবহারকারীদের জন্য তথ্য, পরামর্শ ও নির্দেশিকা থাকবে। হাইওয়ে কোডটি পথচারী গাড়ি, গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি, ঠেলাগাড়ি, রিক্সা সাইকেল, মোটরসাইকেল ইত্যাদির চালকসহ সমস্ত রাস্তা ব্যবহারকারীদের জন্য প্রযোজ্য করতে হবে। হাইওয়ে রোডে রাস্তার চিহ্ন, যানবাহনের চিহ্ন এবং সড়ক নিরাপদ সম্পর্কিত তথ্য থাকবে।

এক্ষেত্রে নিয়মগুলোর ওপর সংশ্লিষ্ট আইনের উল্লেখও অন্তর্ভুক্ত রাখা দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পরিচালকসহ বিভিন্ন ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।