ঢাকা ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য ডিএসএ করিনি’

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের আলোচনা হয়েছে। ডিএসএ-এর বিষয়ে মোমেন ব্লিঙ্কেনকে বলেছেন, ডিএসএ করেছি, কিন্তু গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য তা করিনি।

সোমবার (১০ এপ্রিল) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সেখানকার একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডিএসএ, গণমাধ্যম এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, ডিএসএ করেছি, কিন্তু গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য তা করিনি। আওয়ামী লীগ গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। আমাদের দেশে ১২৫১টা দৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। ৪৩টি প্রাইভেট টিভি নেটওয়ার্ক আছে। তারা হাইপার অ্যাকটিভ। আমরা কোনো কিছু খর্ব করি না।

বাংলাদেশে বিরোধী দল চাইলে যখন-তখন বিক্ষোভ করতে পারে বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান মোমেন। তিনি বলেন, আমি বলেছি, একমাত্র সরকারি এবং বেসরকারি সম্পত্তি কেউ ধ্বংস করলে আমরা তাকে শাস্তি দেই। সরকারের এ বিষয়ে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে কেউ জনজীবন বিঘ্নিত করতে পারে না।

মানবাধিকার বিষয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বলেছে কয়েকজন লোকের বিষয়ে ন্যায়বিচার করার জন্য। তখন বলেছি, আমরা অবশ্যই ন্যায়বিচার করব। কারণ আমরা আইনের শাসন ও সুশাসন চাই।

বৈঠকে অন্যান্য আলোচনার বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশের শ্রম অধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ হয়েছে। ধর্মীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা, ব্যবসা–বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান, যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশের কাছে ফেরত দেওয়াসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গ এসেছেন জানিয়ে মোমেন বলেন, আমরা বলেছি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মানুষ কষ্টে আছে। আপনারা যুদ্ধ বন্ধ করেন, আপনাদের ক্ষমতা আছে; লাগলে আমাদেরও সাহায্য নিতে পারেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বোরহানউদ্দিনে খাল পরিস্কার – পরিচ্ছন্নতার অভিযানের উদ্বোধন

‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য ডিএসএ করিনি’

আপডেট সময় ১২:৩১:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের আলোচনা হয়েছে। ডিএসএ-এর বিষয়ে মোমেন ব্লিঙ্কেনকে বলেছেন, ডিএসএ করেছি, কিন্তু গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য তা করিনি।

সোমবার (১০ এপ্রিল) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সেখানকার একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডিএসএ, গণমাধ্যম এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, ডিএসএ করেছি, কিন্তু গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য তা করিনি। আওয়ামী লীগ গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। আমাদের দেশে ১২৫১টা দৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। ৪৩টি প্রাইভেট টিভি নেটওয়ার্ক আছে। তারা হাইপার অ্যাকটিভ। আমরা কোনো কিছু খর্ব করি না।

বাংলাদেশে বিরোধী দল চাইলে যখন-তখন বিক্ষোভ করতে পারে বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান মোমেন। তিনি বলেন, আমি বলেছি, একমাত্র সরকারি এবং বেসরকারি সম্পত্তি কেউ ধ্বংস করলে আমরা তাকে শাস্তি দেই। সরকারের এ বিষয়ে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে কেউ জনজীবন বিঘ্নিত করতে পারে না।

মানবাধিকার বিষয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বলেছে কয়েকজন লোকের বিষয়ে ন্যায়বিচার করার জন্য। তখন বলেছি, আমরা অবশ্যই ন্যায়বিচার করব। কারণ আমরা আইনের শাসন ও সুশাসন চাই।

বৈঠকে অন্যান্য আলোচনার বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশের শ্রম অধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ হয়েছে। ধর্মীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা, ব্যবসা–বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান, যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশের কাছে ফেরত দেওয়াসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গ এসেছেন জানিয়ে মোমেন বলেন, আমরা বলেছি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মানুষ কষ্টে আছে। আপনারা যুদ্ধ বন্ধ করেন, আপনাদের ক্ষমতা আছে; লাগলে আমাদেরও সাহায্য নিতে পারেন।