ঢাকা ০৯:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

স্কাউট সদস্যরা সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা পালন করতে পারে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সরকারের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে সহযোদ্ধা হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে স্কাউট সদস্যরা। তিনি সব শিক্ষার্থীকে স্কাউট সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদানের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করার জন্য সব-স্তরের স্কাউটস নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। শনিবার ‘৫১তম বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী স্কাউট আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় ১৯৭২ সালের ৮ এপ্রিল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে নব উদ্যমে কার্যক্রম শুরু করে বাংলাদেশ স্কাউটস। তিনি এ দিনটিকে ‘বাংলাদেশ স্কাউট দিবস’ হিসেবে পালনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্কাউটিং করবো, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি, যার সুফল এখন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও ভোগ করছে। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা।’

শেখ হাসিনা বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার রূপকল্প বাস্তবায়নে সকলের ঐকান্তিক সহযোগিতা অপরিহার্য। এই অভিলক্ষ্য বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে তৈরি হবে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট ইকোনমি।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারের এই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে সহযোদ্ধা হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে স্কাউট সদস্যরা।’

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক সুখী, সমৃদ্ধ ও শোষণমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা। জাতির পিতার সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্কাউটরা সর্বদাই সহযোগিতা করে আসছে। বাংলাদেশ স্কাউটিং কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দেশের সব শক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্তত দুটি করে স্কাউট দল বা রোভার স্কাউট দল গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছেলেদের পাশাপাশি গার্ল ইন স্কাউট বা মাদ্রাসাগুলোতেও যেন স্কাউট দল গঠন করা হয় সে বিষয়ে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া সব শিক্ষার্থীকে স্কাউট সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ‘আমি আশা করি, সব পর্যায়ের স্কাউট নেতৃবৃন্দ এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করবে’।

শেখ হাসিনা বলেন, অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃত। ‘সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবং দেশপ্রেম ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সক্ষম হব, ইনশাল্লাহ।’

তিনি বাংলাদেশ স্কাউটস দিবসের সার্বিক সফলতা কামনা করেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বোরহানউদ্দিনে খাল পরিস্কার – পরিচ্ছন্নতার অভিযানের উদ্বোধন

স্কাউট সদস্যরা সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা পালন করতে পারে

আপডেট সময় ১১:২৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সরকারের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে সহযোদ্ধা হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে স্কাউট সদস্যরা। তিনি সব শিক্ষার্থীকে স্কাউট সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদানের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করার জন্য সব-স্তরের স্কাউটস নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। শনিবার ‘৫১তম বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী স্কাউট আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় ১৯৭২ সালের ৮ এপ্রিল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে নব উদ্যমে কার্যক্রম শুরু করে বাংলাদেশ স্কাউটস। তিনি এ দিনটিকে ‘বাংলাদেশ স্কাউট দিবস’ হিসেবে পালনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্কাউটিং করবো, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি, যার সুফল এখন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও ভোগ করছে। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা।’

শেখ হাসিনা বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার রূপকল্প বাস্তবায়নে সকলের ঐকান্তিক সহযোগিতা অপরিহার্য। এই অভিলক্ষ্য বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে তৈরি হবে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট ইকোনমি।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারের এই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে সহযোদ্ধা হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে স্কাউট সদস্যরা।’

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক সুখী, সমৃদ্ধ ও শোষণমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা। জাতির পিতার সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্কাউটরা সর্বদাই সহযোগিতা করে আসছে। বাংলাদেশ স্কাউটিং কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দেশের সব শক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্তত দুটি করে স্কাউট দল বা রোভার স্কাউট দল গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছেলেদের পাশাপাশি গার্ল ইন স্কাউট বা মাদ্রাসাগুলোতেও যেন স্কাউট দল গঠন করা হয় সে বিষয়ে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া সব শিক্ষার্থীকে স্কাউট সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ‘আমি আশা করি, সব পর্যায়ের স্কাউট নেতৃবৃন্দ এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করবে’।

শেখ হাসিনা বলেন, অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃত। ‘সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবং দেশপ্রেম ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সক্ষম হব, ইনশাল্লাহ।’

তিনি বাংলাদেশ স্কাউটস দিবসের সার্বিক সফলতা কামনা করেন।