মাদার ফিসারিজ খ্যাত তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরের হিজল-করচ বন উজাড় করছে একদল দুষ্কৃতকারী । সম্প্রতি প্রকৃতি ও পরিবেশ বান্ধব দশটি হিজল-করচ গাছ এস্কভেটর দিয়ে কেটে ফেলছে দুর্বৃত্তরা এবং দশ বারটি গাছের গুরা উপরে ফেলেছে,কিছু গাছের ডাল ভেঙে দিয়েছে।
জীব বৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষায় এ বৎসর পানি উন্নয়ন বোর্ড টাঙ্গুয়ার হাওরে বেরীবাঁধ নির্মান করেনি, কিন্তুু কতিপয় লোকজন বাঁধের নামে পরিবেশ বান্ধব এসব গাছ কেটে পইল্লার বিলের বাঘের ভেতর দিয়ে বাঁধ তৈরী করছে। টাঙ্গুয়ার পারের বাসিন্দা সান্জু মাষ্টার তার ফেইসবুকে লিখেছেন একদল দুষ্ট লোক অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বেরী বাঁধের নামে সংরক্ষিত এলাকার পরিবেশ বান্ধব হিজল করচ গাছ কেটে ফেলছে। তিনি পইল্লার বিলের হিজল করচ বাগানটি রক্ষা করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।তিনি প্রতিবেদক কে জানান তেরঘর নামক গ্রামের বাসিন্দা গোলাপ নুর ও ইউসুফের নেতৃত্বে হিজল করচ বাগান কেটে বাঁধ নির্মান করছেন কতিপয় লোকজন। এর আগেও বিভিন্ন বাবে অসাধু লোকজন ও স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট টাঙ্গুয়ার হাওরের বিভিন্ন এলাকা থেকে হিজল-করচ গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার ফলে হিজল বাগ গাছ শূন্য হবার উপক্রম হয়েছে।এবাবে চলতে থাকলে একদিন আর কিছুই থাকবেনা, গাছের বদলে থাকবে শুধু গাছের গুড়াটুকু। বিশাল এই অভয়াশ্রমটি সটিকভাবে রক্ষানাবেক্ষন করছেন না দায়িত্বশীলরা। এলাকাবাসী ক্ষোভের সাথে জানান, হাওরে এস্কভেটর দিয়ে গাছ কেটে ফেলার দৃশ্য দেখে অবাক হয়েছি আমরা, টাঙ্গুয়ার হাওরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে একসময় লাখো মানুষকে আকৃষ্ট করলেও এখন দিন দিন মানব সৃষ্ট ‘নৃশংসতা’র কবলে পড়ে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়াসহ জীববৈচিত্র্য হারাচ্ছে। হাওরের সুরক্ষা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রশাসনের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আসাদুজ্জামান রনি বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি রয়েছে, এরপরেও যারা টাঙ্গুয়ার হাওরের ক্ষতি করার কাজে লিপ্ত রয়েছে গাছ কেটে পরিবেশ নষ্ট করছে খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে অন্যায় অনিয়ম করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।