চট্টগ্রামে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে জনগণের জানমালের ক্ষতি করলে তা প্রতিহত করা হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতারা।
সোমবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণা দেন নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা সকল দলের গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে অতীত ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, আন্দোলনের নামে মিছিল মিটিং সমাবেশের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপপ্রয়াস চালিয়েছে। গাড়িতে পেট্রোল বোমা মেরে সাধারণ মানুষ হত্যা করেছে। পশুবাহী গাড়িতে আগুন দিয়ে নিরীহ পশু হত্যা করেছে। মানুষের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। মানুষের ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষতি সাধন করেছে। এবারও যদি তারা অতীত ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটায় তাহলে জনগণকে একাত্ম করে, জনগণের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ শক্তিতে বলীয়ান হয়ে তা প্রতিহত করা হবে।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন বলেন, সম্প্রতি বিএনপি কিছু কর্মসূচি দিয়েছে। ১২ তারিখে চট্টগ্রামে সমাবেশ করবে। আশা করি শান্তিপূর্ণ হবে। আমরা সেদিন পাল্টা কোন কর্মসূচি রাখিনি। তবে বিগত দিনে দেখেছি তারা কর্মসূচির নামে অরাজকতা, আগুন সন্ত্রাস ও দেশ বিরোধী কাজে অংশগ্রহণ করেছে। এ ধরনের কোনো ঘটনা হলে আমরা রুখে দাঁড়াব। এ কর্মসূচি যদি জনগণের বিপক্ষে যায় বা আইনশৃঙ্খলা ব্যাহত করলে তার সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বিএনপি যদি সমাবেশের আড়ালে অন্য কিছু বা নাশকতা করতে চায় তবে আমাদের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত থাকবে। দাঁতভাঙা জবাব দেবে। নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম বলেন, তাদের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। আমরা গায়ে পরে কিছু করতে চাই না। নেতাকর্মীদেরকে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ করার জন্য নির্দেশনা রয়েছে। তবে জনগণের শান্তি বিনষ্ট হলে, নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা চালালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আর বসে থাকবে না। আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে এর জবাব দেব।
সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দিন আহমদসহ চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।