ঝর্ণা বেগম (৪০), পিতা- আউয়াল মিয়া, সাং- উজানর থানা- বাঞ্ছারামপুর, জেলা- বি-বাড়ীয়া। বর্তমান ঠিকানা- বাসা- ২১, রোড- ৬, ডি, আইটি প্রজেক্ট বাড্ডা, ঢাকা। ঝর্ণা বেগম দীর্ঘদিন ৩০ বছর যাবৎ উত্তর বাড্ডা এলাকায় বসবাস করে আসছে। সে একজন সহজ সরল মানুষ। স্বামী শহীদ মিয়া কাঠমিস্ত্রি দীর্ঘদিন যাবত সরল ভাবে জীবন যাপন করে আসছে এলাকাতে। সে তার বাসা থেকে কিছু সময়ের জন্য বাজারে উদ্দেশ্যে বাহিরে বের হলে বাজার থেকে ঘরে এসে দেখে তার কিছু স্বর্ণ,টাক, কাপড় চোপড় ও রূপার চেইন সহ অনেক কিছু চুরি হয়। এ বিষয় নিয়ে ঝর্ণা বেগম বাড্ডা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
উল্লেখ অভিযোগে রয়েছে সে গত ২৭/০১/২০২৩ ইং, বিকাল ৪ ঘটিকার সময় বাসা হতে কেনাকাটা করার জন্য উত্তর বাড্ডা বাজারে যায়। বাজার হতে রাত ৯ ঘটিকায় বাসায় এসে যথারীতি তার রুমে প্রবেশ করে। পরে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পায় তার কাপড় চোপড় এলোমেলো, আলমারীর তালা খোলা, ড্রয়ারে থাকা নগদ আট হাজার টাকা এবং মাটির ব্যাংকে থাকা ২০ পনের হাজার টাকা, স্বর্ণের চুরি, কানের দুল, চেইন আনুমানিক ১ ভরি, রূপা ৫ ভরি ও কিছু দামী কাপড় চোপড় যথাস্থানে নেই।
এ বিষয়ে ঝর্ণা বেগম প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করিলে তারা বলেন তুমি বাজার থেকে ঘরে আসার পূর্বে ১। আলীম হোসেন, ২। মুহিন (২৬), পিতা- চান মিয়া, সাং- রাখুটিয়া, থানা- অজ্ঞাত, জেলা- বরিশাল, অজ্ঞাত আরোও ২-৩ জন লোক তোমার ঘরে প্রবেশ করে কিছু সময় অবস্থান করে। পরে তোমার ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় কাঁধে একটি ব্যাগ নিয়ে চলে যায়। বিষয়টি পরিবারের সাথে আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ করিতেছি। দীর্ঘদিন হয়ে গেল আসামির ধরা তো দূরের কথা উল্টো হুমকির শিকার প্রতিনিয়ত হচ্ছি।
পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা কমবে
পুলিশের দেওয়া ২৫টি চুরির মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বেশির ভাগ প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনায় জড়িত প্রকৃত আসামি, চোরাই টাকা ও স্বর্ণালংকার সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই মামলাটি দীর্ঘায়িত না করার পক্ষে মতামত দেন তাঁরা। তবে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চুরির ঘটনার পরপরই যদি চোর শনাক্ত না হয়, পরে আর হয় না। এ ধরনের মামলা অপেক্ষাকৃত গুরুত্ব কম পায় এবং ওই সব ঘটনায় ফলোআপ না থাকায় শেষ পর্যন্ত আর চোরের দল শনাক্ত হয় না।
রাজধানীর ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ফারুক উদ্দিন ২০২১ সালের জুলাই মাসে ঈদুল আজহা উদ্যাপন করতে সাভারে যান। ঈদ শেষে বাসায় ফিরে ফারুক দেখেন, সংঘবদ্ধ চোরের দল বাসা থেকে প্রায় ১১ ভরি সোনার গয়না, নগদ টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী চুরি করেছে। এ ঘটনায় ভাটারা থানায় মামলা হয়। কিন্তু ঘটনায় জড়িত কোনো চোরকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।এই অবহেলা কার?
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ মামলাটি তদন্ত করলেও কাউকে শনাক্ত না করতে পেরে গত বছরের ৩০ আগস্ট আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির এসআই মানিক কুমার শিকদার যুক্তিসম্মত কিছু কারণ দেখে প্রতিরোধককে বুঝিয়ে দেন। তিনি বলেন, সব ধরনের চেষ্টা করেও বাসায় চুরির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ জন্য মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে হয়েছে।
জনসাধারণ ভুক্তভোগীদের বোবা কান্না বোঝার মত কেউ কি নেই। তাদের প্রশ্ন এই অবহেলা দায়িত্ব কার?