পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছেন মনোয়ারা বেগম নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে মঠবাড়িয়া রিপোর্টাস ইউনিটির সাংবাদিকদের নিকট এ অভিযোগ জানান তিনি। মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার মনোয়ারা বেগম টিকিকাটা ইউনিয়নের ভেচকি গ্রামের সৌদি প্রবাসী ইউনুস হাওলাদারের স্ত্রী।
তিনি বলেন,সূর্যমনি গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান মাষ্টারের ছেলে রিপন মৃধা বাদি হয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আমাকেসহ আরও ৩ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদির কাছে মেডিকেল সার্টিফিকেট তলব করেছে। এরপর আদালত থেকে পরবর্তী নির্দেশ প্রদান করা হবে।
মনোয়ারা বেগম আরও বলেন, রিপন মৃধা গং প্রথমে থানায় মামলা দায়ের করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু থানায় মিথ্যা মামলা করার ব্যর্থ চেষ্টার পর আদালতে যায়। আমরা আদালত ও প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রিপন মৃধা গংদের সাথে সৌদি প্রবাসী ইউনুস হাওলাদারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে।
সম্প্রতী রিপন গং ইউনুস হাওলাদারের ভোগ দখলীয় মাছের ঘেরের একাংশে পিলার পুঁতে দখল করার চেষ্টা চালায়। এতে বাধা দেওয়ায় রিপন গং কৃত্রিম জখম তৈরি করে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এরপর মিথ্যা মামলাটি দায়ের করে। সৌদি প্রবাসী ইউনুস হাওলাদার বর্তমানে সৌদি আরবে রয়েছে। তার কোন পুত্র সন্তান নেই। মেয়েদের নিয়ে তার স্ত্রী আতঙ্কে দিন কাটায়। সন্ধ্যা হলেই প্রতিপক্ষের ভয়ে দরজা আটকিয়ে রাতে আর বাহিরে নামেন না। মাঝে মাঝে দেখেন রামদা নিয়ে গাছের পাশে মিশে লোক দাঁড়িয়ে আছে। ঘর থেকে কেউ বাহিরে নামে কিনা এ অপেক্ষায় ওৎ পেতে থাকে দুর্বৃত্তরা।কাঁদতে কাঁদতে এমন কথন বলেন মনোয়ারা বেগম।
মামলায় ১ নং আসামী করা হয়েছে সূর্যমনি গ্রামের মৃত আলী আকব্বরের পুত্র রুবেলকে (৩২)। ইতোপূর্বে রুবেলের ঘরে আগুন দেয়ার ঘটনায় রিপন গংদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের আওতায় বিশেষ আইনে মামলা হয়েছিল। এছাড়া রিপনদের বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলাও রয়েছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে এলাকায় কারো সাথে ঝামেলা হলেই রুবেলকে আসামী করা হয়। রুবেলের ভাই বেলাল (৩০) ঢাকায় থাকে। তাকেও মামলায় ফাঁসানো হয়।
মামলার বাদি রিপন হাওলাদারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মুঠো ফোনে কল করলে তার ভাই ফিরোজ ফোন রিসিভ করে বলেন আমার ভাই বাজার গেছে এখন তার সাথে কথা বলা সম্ভব নয়।