সাতক্ষীরার মানবিক ডাক্তার খ্যাত অর্থোপেডিকস হাড়ের ডাক্তার, জিএম আলমগীর কবিরের পিতা, জিএম আহম্মদ আলী (৮২) ০৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার ভোর ৪ টায় ইন্তেকাল করেছেন। এমন তথ্য জানিয়েছেন তার পুত্র জিএম আব্দুল রশিদ বারেক।
জানা যায় জিএম আহম্মদ আলী ১৯৮৩ সালে পল্লী বন্ধু এরশাদ সরকারের শাসন আমলে, নির্বাচনের মাধ্যমে গ্রাম সরকার নিযুক্ত হন। এরপরে তিনি একাধারে গ্রাম সরকার দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ছিলেন অনেক ত্যাগী, সমাজসেবক, শিক্ষা অনুরাগী, তিনি সংসার জীবনে পাঁচজন পুত্র সন্তান এবং চারজন কন্যা সন্তান, ছেলে মেয়েদের মধ্যে সরকারি ডাক্তার, শিক্ষক,সহ অন্যতম। ডাক্তার জিএম আলমগীর কবির ছিলেন ভাই-বোনদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট, এবং প্রাইমারি স্কুল থেকে তার পিতা আহম্মাদ আলী এবং তার গর্ভধারিনী মা ফাতেমা বেগমের একান্ত ইচ্ছে ছিল। তার ছোট পুত্রকে ডাক্তারি পাস করানোর পরে সরকারি চাকরি করবেন এবং পাশাপাশি এলাকার মানুষের সেবা করবেন।
দাফন অনুষ্ঠানে এমনটাই বলতে বলতে চোখের পানি রাখতে পারেননি অর্থোপেডিকস ডাক্তার জি এম আলমগীর কবির। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত আছেন।
পারিবারিক সূত্রে তিনি আরো ঘোষণা করেন। তার পৈতৃক স্তবর অস্থাবর ভাই বোনদের ভাগ বন্টন শেষে, তার নিজের স্থাবর অস্থাবর আয়ের টাকা মসজিদ এবং মাদ্রাসার অসহায় এতিম ছাত্র ছাত্রীদের ভিতরে বন্টন করবেন।
জি এম আলমগীর কবির আরও জানান, তিনি তার বাবার তত্ত্ববোধনে তিল তিল করে গড়ে তোলা দুদলী নতুন হাট হেবরুণ জামে মসজিদের উন্নয়নকল্পে, নির্মানাধীন ভবনের দৃশ্যমান করার লক্ষ্যে, সকল সহযোগিতা করবেন বলে জানান তিনি। এবং তার পিতার আত্মার মাগফেরাতের জন্য সকল মানুষের কাছে দোয়া চেয়েছেন।