আধুনিক প্রযুক্তির যুগেও বই উল্টে পড়ার মজা আলাদা মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন ডিজিটাল যুগ, ভাষা ও সাহিত্য চর্চাও আমরা ডিজিটাইজড করতে পারি। বইগুলো ডিজিটাল ভার্সনে করতে হবে। অডিও ভার্সনও করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, হাঁটতে-চলতেও যাতে শুনতে পারে এমন অডিও বই করা উচিত, ডিজিটাল ভার্সন করা উচিত। অনলাইনে লাইব্রেরির সুবিধা নেওয়া যেতে পারে। দেশের প্রত্যেকটা সাহিত্যকর্মের অডিও ভার্সন করে দিলে আরও বেশি পাঠক তৈরি হবে।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পেয়েছে। আমাদের ওপরে বিরাট দায়িত্ব এসে গেছে, বাংলা ভাষাকে বিশ্ব দরবারে আরও ব্যাপকভাবে পরিচিত করা। সেটা করতে হলে দরকার হচ্ছে আমাদের বইগুলো অনুবাদ করা।
তিনি আরও বলেন, যত বেশি আমরা সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা করতে পারব তরুণ প্রজন্মকে যত বেশি আকৃষ্ট করতে পারব। এতে তারা মাদক, জঙ্গিবাদের দিকে যাবে না। তখন তারা আসলে আমাদের স্বাভাবিক জীবন-যাপন এবং সাহিত্য চর্চার মধ্য দিয়ে মেধা ও জ্ঞান বিকাশের সুযোগ পাবে। খেলা-ধুলা, সাহিত্য চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চা আমাদের গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে বলে আমি মনে করি। আমরা ইতোমধ্যে কিছু উদ্যোগ নিয়েছি, এটা করা উচিত।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে কিছু খুব জ্ঞানী-বিজ্ঞানী আছেন। তাদের মুখে শুনলাম, দু-চার বছরের জন্য যদি অনির্বাচিত সরকার আসে, তাহলে তো মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না। কারা এগুলো বলেন, সেটা আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। অনির্বাচিত সরকার তো আপনারা দেখেছেন। এখানের ছাল ওখানে নিয়ে নানাভাবে দল করার চেষ্টা করেন, রাজনৈতিক নেতাদের খারাপভাবে উপস্থাপন করে অপকর্মের চেষ্টাও করেছেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মহাভারত অশুদ্ধ হবে না, অশুদ্ধ হবে আমাদের সংবিধান। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা এবং তৎপরবর্তী বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সংবিধান। অনির্বাচিত সরকার এলে সেটি অশুদ্ধ হবে।’ দেশে গ্যাস-বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, জ্বালানি খাতে কেন ভর্তুকি দিতে হবে? খাদ্য ও কৃষিতে ভর্তুকি দিলেও গ্যাস-বিদ্যুতে দিয়ে বিত্তবানদের সুবিধা দেওয়া হবে না।