নিয়েলসেন পরিচালিত ‘ক্যাম্পাস ট্র্যাক সার্ভে বি-স্কুল: ২০২২’-এ টানা তৃতীয়বার ‘এমপ্লয়ার অব চয়েস’ বা ‘সেরা পছন্দের নিয়োগদাতা’ নির্বাচিত হয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান বিকাশ।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিয়েলসেন আইকিউ বিশ্বব্যাপী বহু আগ থেকে জরিপটি পরিচালনা করে আসলেও বাংলাদেশে এটি করছে ২০১৩ সাল থেকে। প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা পদ্ধতি ও ফলাফল বরাবরই সঙ্গতিপূর্ণ। এদিকে বিকাশও প্রতিনিয়ত নিজেকে সমৃদ্ধ করছে, যার প্রতিফলন ২০২০ ও ২০২১-এর পর ২০২২ সালেও ‘এমপ্লয়ার অব চয়েস’ স্বীকৃতি অর্জন।
ইন্ডাস্ট্রি প্রেফারেন্স, কাজের পরিবেশ, বেতন কাঠামো ও ক্যাম্পাসভিত্তিক কার্যক্রম, এবং চাকরীপ্রার্থিদের অনুপ্রাণিত হওয়ার মতো সুযোগ-সুবিধা– এই তিনটি প্যারামিটার বা মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে ক্যাম্পাস ট্র্যাক সার্ভে পরিচালিত হয়ে থাকে। ক্যাম্পাস রিক্রুটার ইনডেক্স (সিআরআই) সূচকের ভিত্তিতে ৫৪টি বহুজাতিক ও স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে বিকাশ। প্রতিষ্ঠানের সুনাম, ইতিবাচক কাজের পরিবেশ, ক্রমবিকাশ ও শেখার সুযোগ, আকর্ষণীয় বেতন, কাজের স্থিতিশীলতা এবং সন্তুষ্টি, কর্মীদের কল্যাণ, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধে ইত্যাদি বিবেচনায় জরিপে প্রথম স্থান অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য, এই জরিপে অংশগ্রহণকারীরা দেশের শীর্ষস্থানীয় ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২ সালের বিবিএ শেষ বর্ষ এবং এমবিএ-এর শিক্ষার্থী। বিকাশের চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার মো. ফেরদৌস ইউসুফ বলেন, আমরা অনুপ্রাণিত যে, বিকাশের মতো একটি দেশীয় একটি কোম্পানি ২০২০ সাল থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের এক নম্বর ‘এমপ্লয়ার অব চয়েস’ বা ‘সেরা পছন্দের নিয়োগদাতা’- নির্বাচিত হয়েছে। বিকাশ হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান যার কর্মীদের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং ক্রমাগত উদ্ভাবন লাখ লাখ মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। এখানকার অনুপ্রেরণাদায়ী কাজের সংস্কৃতিকর্মীদের গ্রাহককেন্দ্রিক, উদ্ভাবনী, সহযোগিতামূলক, কর্মতৎপর এবং নৈতিক হতে সহায়তা করে। নেতৃত্বে থাকা বিকাশের কর্মকর্তারা সহকর্মীদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে লক্ষ্য পূরণের জন্য সব সময় অনুপ্রাণিত করেন। ফলে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তারা সদা প্রস্তুত থাকেন এবং নিজেদেরকে আরও বিকশিত করার সুযোগ পান।
এছাড়াও বিকাশ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি (এমটি) প্রোগ্রাম’ পরিচালনা করে থাকে। ‘জেননেক্সট’ নামে পরিচিত এই এমটি প্রোগ্রাম সর্বোচ্চ ক্যারিয়ার গ্রোথ নিশ্চিত করে। এর ফলে জরিপের আওতায় সবগুলো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিকাশের এই এমটি প্রোগ্রাম সেরা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বিকাশ একই সঙ্গে পেইড ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম ‘বিনেক্সট’ পরিচালনা করে যেখানে শিক্ষার্থীরা কোম্পানির প্রকল্পগুলোয় সরাসরি কাজ করে অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পায়। বিকাশ প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ট্রেনিং, গ্রুমিং ও নলেজ শেয়ারিং সেশন আয়োজন করে থাকে।