ঢাকা ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে এসেছেন সারজিস-হাসনাত হজ্জ ব্যবস্থাপনা ২০২৫ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নাটোরে বড়াইগ্রাম আ’লীগ কর্মীর বাড়িতে বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব রিজভী কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির হাতে কোটি টাকার ইয়াবা আটক কুমিল্লায় জুলাই গণহত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে ছাত্রশিবিরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ঢাকা উত্তরের ট্যাক্স সুপারভাইজার যেভাবে ফ্ল্যাট মালিকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করেন— তার একটি ঘটনা বোরহানউদ্দিনে খাল পরিস্কার – পরিচ্ছন্নতার অভিযানের উদ্বোধন ছাত্র জনতাকে অভিবাদন জানিয়ে যে বার্তা দিলেন মাহফুজ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি আইনজীবীদের মিরপুরে শহীদ পরিবারের পাশে, তারেক রহমান

বগুড়ায় সরিষাক্ষেত থেকে উদ্ধারকৃত হাতে মেহেদী পরা লাশটি ফরিদপুরের শারমিনের

বগুড়ার নন্দীগ্রামে সরিষাক্ষেত থেকে উদ্ধার অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহটি ফরিদপুরের শারমিন আক্তারের (১৮) বলে দাবি করেছেন তার মা নুর নাহার। ১৮ জানুয়ারি বুধবার বগুড়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মৃতদেহটির পরিচয় নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নন্দীগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তরিকুল।

পরে আদালতের বিচারক জিনিয়া জাহান ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সিআইডিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। নুর নাহার জানান, তার মেয়ে শারমিন আক্তার ২০১৯ সালে জেএসসি পাস করে আর পড়াশোনা করেনি। কয়েকমাস আগে থেকে একই এলাকার সেলিম শেখ নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সেখান থেকে ফেরানোর জন্য মেয়েকে বাড়িতে রাখা হয় এবং মোবাইলফোন ব্যবহার করতে দেওয়া হতো না। গত ২ জানুয়ারি কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান শারমিন। এরপর ১০ জানুয়ারি ফরিদপুর সদর থানায় এ বিষয়ে জিডি করা হয়। ১৪ জানুয়ারি গণমাধ্যমের মাধ্যমে অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম থানায় আসেন।

সেখানে আলামত হিসেবে রাখা কাপড় এবং ছবি দেখে শারমিনের মরদেহ বলে শনাক্ত করেন। গত ১৩ জানুয়ারি নন্দীগ্রাম উপজেলার কাথম বেরাগাড়ী এলাকায় সরিষার ক্ষেত থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে দাফন করা হয় এবং পুলিশ বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করে। নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, পরিচয় উদঘাটনের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মরদেহের ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করে। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র না হওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। নুর নাহার নামে যে নারী তার মেয়ে বলে দাবি করেছেন সে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করা হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে এসেছেন সারজিস-হাসনাত

বগুড়ায় সরিষাক্ষেত থেকে উদ্ধারকৃত হাতে মেহেদী পরা লাশটি ফরিদপুরের শারমিনের

আপডেট সময় ০৯:৩১:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩

বগুড়ার নন্দীগ্রামে সরিষাক্ষেত থেকে উদ্ধার অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহটি ফরিদপুরের শারমিন আক্তারের (১৮) বলে দাবি করেছেন তার মা নুর নাহার। ১৮ জানুয়ারি বুধবার বগুড়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মৃতদেহটির পরিচয় নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নন্দীগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তরিকুল।

পরে আদালতের বিচারক জিনিয়া জাহান ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সিআইডিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। নুর নাহার জানান, তার মেয়ে শারমিন আক্তার ২০১৯ সালে জেএসসি পাস করে আর পড়াশোনা করেনি। কয়েকমাস আগে থেকে একই এলাকার সেলিম শেখ নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সেখান থেকে ফেরানোর জন্য মেয়েকে বাড়িতে রাখা হয় এবং মোবাইলফোন ব্যবহার করতে দেওয়া হতো না। গত ২ জানুয়ারি কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান শারমিন। এরপর ১০ জানুয়ারি ফরিদপুর সদর থানায় এ বিষয়ে জিডি করা হয়। ১৪ জানুয়ারি গণমাধ্যমের মাধ্যমে অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম থানায় আসেন।

সেখানে আলামত হিসেবে রাখা কাপড় এবং ছবি দেখে শারমিনের মরদেহ বলে শনাক্ত করেন। গত ১৩ জানুয়ারি নন্দীগ্রাম উপজেলার কাথম বেরাগাড়ী এলাকায় সরিষার ক্ষেত থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে দাফন করা হয় এবং পুলিশ বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করে। নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, পরিচয় উদঘাটনের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মরদেহের ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করে। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র না হওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। নুর নাহার নামে যে নারী তার মেয়ে বলে দাবি করেছেন সে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করা হয়েছে।