ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৪১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত (৯ মাসে) ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সারাবিশ্ব থেকে ৮৬ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। ২০২১ সালের ওই সময়ের তুলনায় যা ২৪ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি।
পরিসংখ্যান মতে, গত বছরের জানুয়ারি-অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন বা এক হাজার ৯৪০ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে ইইউ। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৩ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন বা এক হাজার ৩৬৯ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ডলার। ফলে দেখা গেছে, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ পোশাক আমদানি বাড়িয়েছে ৪১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
পরিসংখ্যান থেকে আরও জানা গেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক রপ্তানিতে প্রথম স্থানে রয়েছে চীন। আর এরপরেই দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ।
পরিসংখ্যান মতে, বর্তমানে চীন ২৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ রপ্তানি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে সবচেয়ে বড় পোশাক সরবরাহকারীর অবস্থান ধরে রেখেছে। ২০২২ সালের প্রথম ১০ মাসে চীন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি বছরওয়ারি ২২ দশমিক ৪৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ ২৫ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
একই সময়ে, তুরস্ক থেকে আমদানিও বছরওয়ারি ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তুরস্ক থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানিও ১০ দশমিক ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ভারত থেকে আমদানি ৪ দশমকি ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। আর বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য শীর্ষ সরবরাহকারীদের মধ্যে কম্বোডিয়া থেকে ৩৯ দশমিক ৬৯, ভিয়েতনাম থেকে ৩৩ দশমিক ০৫, পাকিস্তান থেকে ২৮ দশমিক ৫৫, মরক্কো থেকে ৯ দশমিক ৫৯, শ্রীলঙ্কা থেকে ১৮ ও ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩১ দশমিক ৭৬ শতাংশ আমদানি বেড়েছে।
এ বিষয়ে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এ ডাটা গত বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। সেই হিসেবে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশ ভালো করছে। তবে, এই সময়ের পর ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি কমেছে।
তিনি বলেন, যুদ্ধ ও অনান্য দেশের অর্থনৈতিক মন্দার কারণে পোশাক রপ্তানি কমছে। তবে অনান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশ ভালো করছে।