বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আড্ডায় কিংবা পার্টিতে গিয়ে মাদক সেবন করে থাকেন, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। দিনে দুবারের বেশি ড্রিংক বা সপ্তাহে চারবারের বেশি অ্যালকোহল পান করলে হতে পারে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
অ্যালকোহল খুব দ্রুত শরীরে মিশে যায় বলে গ্লুকোজ টলারেন্সের মাত্রাও কমিয়ে দেয়। এর ফলে হঠাৎ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়া বা ডিপ্রেশনে ভোগাও অসম্ভব নয়। তাই অ্যালকোহল আসক্তি কমাতে বিশেষজ্ঞ ডায়েটিশিয়ান কিছু খাবারের পরামর্শ দিয়েছেন।
অ্যালকোহল আসক্তি কমাতে যা খাবেন
আপনি কতটা পরিমাণে অ্যালকোহল খাচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করবে আপনার পুষ্টির অভাবের মাত্রা। তবে কেউ অ্যালকোহল ছেড়ে দিলে তখন তার খাওয়ার ইচ্ছে থাকে খুব কম। তাই, এ সময়ে অ্যালকালাইন ফুর ও ফ্লুইড বেশি করে খাওয়া দরকার। যেমন- গরম স্যুপ, তাজা ফল ও ফলের রস শরীর থেকে অ্যালকোহল দূর করতে সাহায্য করে। পানি খাবেন বেশি করে। হারবাল টি যেমন ক্যামোমাইল, গ্রিন টি খেতে পারেন নিয়মিত। ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স ও পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় মিনারেল খেতে পারেন।
এর ফলে শরীর জমে থাকা অ্যালকোহল ও অন্যান্য টক্সিক (বিষ) বের করতে থাকবে। ধীরে ধীরে ফ্যাটও ভাঙতে শুরু করবে। এ ছাড়াও খিচুড়ি, ডাল, ভাত, সবজি, ফল খেতে পারেন। অ্যালকালাইন ডায়েট মেনে চলা জরুরি বলে ফল আর সবজি বেশি পরিমাণে খেতে হবে। প্রোটিন ও কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেটযুক্ত স্ন্যাক্সও খান মাঝেমাঝে। হোলগ্রেন, পাস্তা, আলু, ফল খান কয়েকঘণ্টা পর পর।
যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে
কোল্ড ড্রিংক বা মিষ্টিজাতীয় খাবার, চিপস, বার্গার, আইসক্রিম, ফাস্ট ফুড ইত্যাদিও এড়িয়ে চলুন। কফি, ধূমপানের অভ্যাস বেড়ে গেলে অ্যালকোহলের ক্রেভিং হতে পারে।