ঢাকা ০৮:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয় ইমরান খানের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালানোর শঙ্কা জবির ৯ শিক্ষকসহ ২৫৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা উপ-রাষ্ট্রপতি পদ ফেরাতে চায় বিএনপি, আগে কারা ছিলেন? বঞ্চিত ক্রীড়া সংগঠকদের মাঠে ফিরিয়ে আনতে চাই : আমিনুল হক বিহারী মুরাদ দিদার এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র মঠবাড়িয়ার সাপলেজা ইউনিয়নে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সংঘাত অস্থিরতার দায় সরকার এড়াতে পারে না: এবি পার্টি ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের’ মাহবুবুলসহ ১৮ জন কারাগারে রংপুর জেলায় বিএসটিআই’র সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা

শিক্ষার উন্নয়নে নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে চলেছে সরকার

  • রুবিনা শেখ
  • আপডেট সময় ০৯:৩১:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৬৮১ বার পড়া হয়েছে

শিক্ষার উন্নয়নে নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে চলেছে সরকার। এরমধ্যে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও সাদ্রী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষায় শিশুদের বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে বই। রুবিনা শেখ – চলতি শিক্ষাবর্ষেও দুই লক্ষাধিক বই বিতরণ করা হয়েছে। জানা যায়, বর্তমানে দেশে ৪৫টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রয়েছে।

এদের মধ্যে অনেকেরই নিজস্ব ভাষা ও বর্ণমালা রয়েছে। পার্বত্য চুক্তি, শিশুনীতিসহ জাতীয়-আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আইন ও সনদ অনুযায়ী, মায়ের ভাষায় শিক্ষাগ্রহণের অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে। সেই তাগিদে বর্তমান সরকার ২০১২ সালে প্রথম দফায় ৫টি মাতৃভাষায় প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন এবং পড়াশোনা শুরুর উদ্যোগ নেয়।

এর মধ্যে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ও সমতলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য জাতীয় পর্যায়ে মাল্টি ল্যাংগুয়েল এডুকেশন (এমএলই) কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য তিনটি কমিটি গঠন করে। আর ২০১৭ সাল থেকে দেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার জনগোষ্ঠীর শিশুদের মাতৃভাষায় পড়াশোনার জন্য বই বিতরণ শুরু করে সরকার।

পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্র জানায়, ২০১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও সাদ্রী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষায় শিশুদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক দেয়া শুরু হয়। প্রথম বছর শুধু প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য বই মুদ্রণ করা হয়। তবে দ্বিতীয় বছর ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রথম শ্রেণি এবং ২০১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত তাদের পাঠ্য বই দেয়া হয়। এ বছর নতুন করে তৃতীয় শ্রেণির বই দেয়া হয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রাক-প্রাথমিক স্তরের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ৯৭ হাজার ৫৭২ শিশুর জন্য পাঁচটি ভাষায় রচিত প্রাক-প্রাথমিক, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির দুই লাখ ৩০ হাজার ১০৩টি কপি বই বিতরণ করা হয়। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল বইও রয়েছে এর মধ্যে।

এছাড়া গত শিক্ষাবর্ষে ৯৮ হাজার ১৪৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে বিতরণ করা হয় দুই লাখ ৭৬ হাজার ৭৮৪টি পাঠ্যবই। জানা যায়, পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পাঠ্যবই রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা ছাড়াও হবিগঞ্জের বাহুবল; মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, বড়লেখা ও কুলাউড়া; রংপুরের পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর; জামালপুরের বকশীগঞ্জ, শেরপুরের শ্রীবর্দী ও নেত্রকোনার দুর্গাপুরসহ বিভিন্ন উপজেলায় বিতরণ করা হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয়

শিক্ষার উন্নয়নে নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে চলেছে সরকার

আপডেট সময় ০৯:৩১:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩

শিক্ষার উন্নয়নে নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে চলেছে সরকার। এরমধ্যে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও সাদ্রী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষায় শিশুদের বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে বই। রুবিনা শেখ – চলতি শিক্ষাবর্ষেও দুই লক্ষাধিক বই বিতরণ করা হয়েছে। জানা যায়, বর্তমানে দেশে ৪৫টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রয়েছে।

এদের মধ্যে অনেকেরই নিজস্ব ভাষা ও বর্ণমালা রয়েছে। পার্বত্য চুক্তি, শিশুনীতিসহ জাতীয়-আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আইন ও সনদ অনুযায়ী, মায়ের ভাষায় শিক্ষাগ্রহণের অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে। সেই তাগিদে বর্তমান সরকার ২০১২ সালে প্রথম দফায় ৫টি মাতৃভাষায় প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন এবং পড়াশোনা শুরুর উদ্যোগ নেয়।

এর মধ্যে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ও সমতলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য জাতীয় পর্যায়ে মাল্টি ল্যাংগুয়েল এডুকেশন (এমএলই) কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য তিনটি কমিটি গঠন করে। আর ২০১৭ সাল থেকে দেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার জনগোষ্ঠীর শিশুদের মাতৃভাষায় পড়াশোনার জন্য বই বিতরণ শুরু করে সরকার।

পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্র জানায়, ২০১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও সাদ্রী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষায় শিশুদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক দেয়া শুরু হয়। প্রথম বছর শুধু প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য বই মুদ্রণ করা হয়। তবে দ্বিতীয় বছর ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রথম শ্রেণি এবং ২০১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত তাদের পাঠ্য বই দেয়া হয়। এ বছর নতুন করে তৃতীয় শ্রেণির বই দেয়া হয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রাক-প্রাথমিক স্তরের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ৯৭ হাজার ৫৭২ শিশুর জন্য পাঁচটি ভাষায় রচিত প্রাক-প্রাথমিক, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির দুই লাখ ৩০ হাজার ১০৩টি কপি বই বিতরণ করা হয়। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল বইও রয়েছে এর মধ্যে।

এছাড়া গত শিক্ষাবর্ষে ৯৮ হাজার ১৪৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে বিতরণ করা হয় দুই লাখ ৭৬ হাজার ৭৮৪টি পাঠ্যবই। জানা যায়, পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পাঠ্যবই রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা ছাড়াও হবিগঞ্জের বাহুবল; মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, বড়লেখা ও কুলাউড়া; রংপুরের পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর; জামালপুরের বকশীগঞ্জ, শেরপুরের শ্রীবর্দী ও নেত্রকোনার দুর্গাপুরসহ বিভিন্ন উপজেলায় বিতরণ করা হয়।