বরগুনার বেতাগীর সরিষামুড়ি ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান খান ফারুক আহমেদ শামীমকে (৩৩) আগুনে পুড়িয়ে হত্যার প্রধান আসামি মো. চান মিয়াকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার কালিকাবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন। গত বছর ৯ আগস্ট সরিষামুড়ি ইউনিয়নের মায়ারহাট বাজার সংলগ্ন এলাকার নিজ বাড়িতে রাতে স্ত্রীসহ ঘুমিয়েছিলেন শামীম। রাত ২টার দিকে দুর্বৃত্তরা বাইরে থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে, বাড়ির চারপাশে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। অগ্নিদগ্ধ হন শামীম ও তার স্ত্রী সুচি আক্তার। গুরুতর অবস্থায় পরের দিন সকালে শামীমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পাঠায় বরগুনা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
১১ আগষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শামীম। এর দুই দিনপর ১৩ আগষ্ট মৃত শামীমের মা মনোয়ারা বেগম নাম না জানা ব্যক্তিদের আসামি করে বেতাগী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশি দুজনকে গ্রেপ্তার করলে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চান মিয়ার নাম বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, চাঞ্চল্যকর প্যানেল চেয়ারম্যান শামীম হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যার নেতৃত্ব দেওয়া চান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। আজ আসামি চান মিয়াকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এই হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।