শৈশবের সুন্দর সুন্দর স্মৃতি শিশুকে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। তাই বিশেষ দিনগুলোতে শিশুকেও আনন্দের সঙ্গী করে নিন। যেমন ধরুন বছরের শুরুটা, একটি দিন যদি শিশুকে নিয়ে ঘুরে বেড়ান বা তার পছন্দের কিছু করে কাটান, সেসব তার জন্য অনেক বেশি আনন্দের হয়ে উঠবে।
ঘুরে আসুন
শিশুরা কিন্তু এক জায়গায় বেশিক্ষণ থাকা পছন্দ করে না। ঘোরাঘুরির নাম শুনলে সবার আগে তারাই আগ্রহ দেখাবে। তাই বছরের শুরুটা করতে পারেন খানিকটা ঘোরাঘুরির মাধ্যমে। পার্ক, চিড়িয়াখানায় ভিড় বেশি থাকলে এমন কোনো স্থানে যান, যেখানটাতে ভিড় তুলনামূলক কম। ভালো পোশাক পরিয়ে বাইরে থেকে ঘুরিয়ে আনলেই দেখবেন শিশু কতটা খুশি হয়ে গেছে!
নতুন কোনো কাজ শেখাতে পারেন
বছরের শুরুতে শিশুকে নতুন কোনো কাজে আগ্রহী করে তুলতে পারেন। বাড়িতে যদি গাছ লাগানোর মতো জায়গা থাকে বা টব থাকে তাহলে তাতে বিভিন্ন গাছ লাগাতে পারেন। গাছ লাগাতে হলে মাটি কীভাবে প্রস্তুত করতে হয় তা শিশুকে শিখিয়ে দিন। সেইসঙ্গে তৈরি করে দিতে পারেন পাখির বাসাও। সব মিলিয়ে নতুন কাজগুলো শিশুর ভালোলাগবে।
মুভি দেখতে পারেন
শিশুকে সঙ্গে নিয়ে তার পছন্দের কোনো মুভি দেখতে পারেন। শিশুর উপযোগী বইও কিনে দিতে পারেন নতুন বছরটি সুন্দর ও স্মৃতিময় করতে। মুভি দেখার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন শিশু যেন টিভি কিংবা স্মার্টফোনের প্রতি আসক্ত না হয়ে যায়। বিনোদনের জন্য যে কেবল দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ, তা শিশুকে বুঝতে শেখান।
রান্না করতে পারেন
শিশুকে রান্নায় আগ্রহী করতে তাকে সঙ্গে নিয়ে রাঁধতে পারেন নতুন ও সহজ কোনো পদ। প্রতিদিন যে ধরনের খাবার রান্না হয় তার বাইরে আলাদা কিছু তৈরি করতে পারেন। শিশু যে ধরনের খাবার খেতে বেশি পছন্দ করবে যেমন পিজ্জা কিংবা কেক তৈরি করতে পারেন। এতে তার নতুন কিছু শেখাও হলো আবার সবাইকে নিয়ে খাওয়ার আনন্দও হলো।
ঘরটি রঙিন করে তুলুন
রং নিয়ে মেতে উঠতে পারেন শিশুর সঙ্গে। বিভিন্ন রং কিনে এনে তা দিয়ে রঙিন করে তুলতে পারেন বাড়ির দেওয়ালগুলো। শিশুর ঘরটি তার উপযোগী বা পছন্দের রঙে রাঙাতে পারেন। হুবহু পেশাদারের মতো না হলেও তাতে আন্তরিকতার কমতি থাকবে না। শিশুও আনন্দে মেতে থাকতে পারবে।