ময়মনসিংহের ভালুকায় তরমুজ চাষে সফল হতে চান ভালুকা ৭নং মল্লিকবাড়ি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মোস্তফা। মোঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর ভালুকা ভান্ডাব মৌজায় সরেজমিনে দেখা যায় ৮ একর জমিতে ৬ হাজার গর্ত করে মোট ১৮ হজার বাংলালিংক জাতীয় তরমুজের বীজ রোপণ করে নিয়মিত পরিচর্যা করে যাচ্ছেন।
তরমুজ সাধারণত মুখরোচক ও পানিয় জাতীয় ফল হিসাবে বর্তমান বাজারে অনেক কদর রয়েছে এমনকি কেজি হিসাবেও বাজারজাত করা হয়। প্রতিবছর সৃজনে ভালুকা বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে পাঁচ রাস্তা ও থানার মৌরে অগণিত তরমুজ সংখ্যায় ও কেজিতে বিক্রি করা হয় যা অতিরিক্ত চড়া দাম হওয়ায় সাধারণ মানুষের কেনার সাধ্য অতিক্রম করে।
বিষয়টি মোস্তফা মেম্বারের নজরে আসলে এ বছরের শুরুতেই ভালুকাসহ আশপাশের মানুষের চাহিদা মেটাতে ভান্ডাব মৌজায় বৃহৎ পরিকল্পনায় ৮ একর জমি লীজ নিয়ে কৃষি উদ্যোগতা হিসাবে প্রথমেই দিনাজপুর থেকে বীজ এনে তরমুজের বিশাল বীচতলায় পরিনত করেন। মোস্তফা মেম্বার দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে জানান, এ পর্যন্ত ৬ হাজার বীজতলায় সার গোবর দিয়ে ৮ থেকে ১০ জন শ্রমিক খাটিয়ে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে ফসলী জমির পাশে একটি ঘড় নির্মাণ করে শ্রমিকসহ দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
পানি ও সেচ ও বিদ্যুৎ এর অসুবিধায় ভূগছেন বলে তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন। এবং তিনি আশাবাদী ফসল ভাল হলে খরচ বাদে ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা লাভ করা সম্ভব হবে। এ সময় ভালুকা উপজেলা সার্ক মানবাধিকারের সভাপতি খলিলুর রহমান খাঁন জুয়েল ও প্রবীন সাংবাদিক হাবিবুর রহমান তরফদার ও উপ- সহকারী কৃষি অফিসার মোবারক হোসেনকে নিয়ে সরেজমিনে ৮ একট তরমুজ ক্ষেত ঘুরে পরিদর্শন করেন এবং কৃষি উদ্যোগতা মোস্তফা মেম্বারের সফলতা কামনা করেন। ভালুকা উপজেলা কৃষি অফিসার জেসমিন নাহার জানান, কৃষিতে তরমুজ চাষ লাভজনক তবে বিভিন্ন রোগ বালাই হতে পারে এ ব্যপারে সহযোগীতা চাইলে যে কোন সময় আমরা পরিদর্শন করে সহযোগীতা করব।