বলিউড অভিনেতা সালমান খান। বয়স প্রায় ষাটের কাছাকাছি। কিন্তু এখনও যেন তরুণ! সাতান্ন বছর পার করলেন ক’দিন আগেই। কিন্তু কে বলবে এই সালমান বর্তমান তরুণ প্রজন্মের বাবা-চাচার বয়সী? অভিনয়ের পাশাপাশি ফিটনেস ধরে রেখেও সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন তিনি।
সালমানের এই ফিটনেসের রহস্য কী? কেন এখনও তাকে ফিটনেসে উৎসাহী তরুণেরা ঈর্ষার চোখে দেখেন? সমস্ত ফিটনেস উৎসাহীদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে তার নামটি কেন আগেভাগে চলে আসে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
দিনের প্রায় পুরোটা সময়ই চলে যায় ব্যস্ততায়। কিন্তু যত ব্যস্তই থাকেন না কেন, দিনে অন্তত দুই ঘণ্টা তিনি জিমে কাটান। কোনো কোনোদিন দুই ঘণ্টা সম্ভব না হলে অন্তত এক ঘণ্টা কাটান। তার ওয়ার্কআউট রুটিনের মধ্যে রয়েছে, বেঞ্চ প্রেস, ওজন প্রশিক্ষণ, ট্রেডমিল, সিট-আপ এবং পুশ-আপ, সার্কিট প্রশিক্ষণ এবং প্ল্যাঙ্কের মতো ব্যায়ামের মিশ্রণ।
নিজেকে খানিকটা বিশ্রাম দেওয়ার জন্য সপ্তাহে ছুটি নেন মাত্র একটি দিন। তবে সেদিনও বসে থাকেন না। চালান সাইকেল। বাকি দিনগুলোতে কার্ডিও অনুশীলন দিয়ে শুরু করেন তিনি। সাধারণত তিনি এক ঘণ্টার জন্য কার্ডিও করেন। কার্ডিওর পরে চলে যান তিনি ওজন প্রশিক্ষণে। তবে সব দিন নয়, মাঝে মাঝে চলে যান নিজের খামার বাড়িতে। সেখানে খানিকটা সময় হাঁটাহাঁটি করেন। এমনকী দুই ঘণ্টা দীর্ঘ ট্রেকিং সেশনেও অংশ নেন।
অবসর সময়ে প্রায়ই রাস্তায় সাইকেল চালাতে দেখা যায় বলিউডের এই শীর্ষ নায়ককে। হার্ট সুস্থ ও ফিট রাখার অন্যতম একটি ভালো উপায় হলো এই সাইকেল চালানো। সালমান খান এই বয়সেও টানা ৩ ঘণ্টা সাইকেল চালাতে পারেন।
সালমান খানের সকালের খাবারে থাকে ডিমের সাদা অংশ ও কম চর্বিযুক্ত দুধ। তার দুপুরের খাবারে সাধারণত পাঁচটি চাপাতি, ভাজা সবজি এবং তাজা সবুজ সালাদ থাকে। রাতের খাবারে থাকে ডিমের সাদা অংশ, ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ মাছ বা ভেজ স্যুপের সঙ্গে মুরগির মাংস। এতে নিজেকে ফিট রাখা সহজ হয়।
সালমান খানের পছন্দের তালিকায় যদিও দেশি খাবার বেশি রয়েছে। তবে পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে সেভাবেই খাবারের তালিকা বেছে নেন। বাড়তি চিনিযুক্ত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখেন সচেতনভাবেই। সেইসঙ্গে এড়িয়ে চলেন প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট আর স্টেরয়েডও।