ডিএমপির শাহ আলী থানায় কর্মরত এসআই রাকিব খান বাপ্পী (৩১) এর নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০(সংশোধিত২০২০), ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অপরাধে পল্লবী থানায় মামলা হয়েছে। পল্লবীর সেক্টর-৬, ব্লক ডি’র ১৪নং বাড়ীর বসবাসরত হালিমা খাতুন বর্ষা এ মামলা করেন।
বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ ঢাকার রিট পিটিশন করলে আদালত পল্লবী থানায় এজাহার করতে আদেশ প্রদান করে। আদেশ পেয়ে পল্লবী থানা মামলা রুজু করে। মামলা নং-৪০/১১১৯, তারিখ-১৭-১২-২০২২ইং। মামলা সূত্রে জানা গেছে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের মো. আব্দুল জব্বারের মেয়ে বর্তমানে পল্লবীতে বসবাসরত হালিমা খাতুন বর্ষার সাথে কিশোরগঞ্জের আব্দুল মজিদ খানের ছেলে বর্তমানে ডিএমপির শাহ আলী থানায় কর্মরত এসআই আব্দুর রাকিব খান বাপ্পীর সাথে দীর্ঘদিন প্রেম ও ভালবাসার সম্পর্ক থাকায় বিবাহ বর্হিভুত জোর পূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করার সময় বাদিনী ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ আব্দুর রাকিব খান বাপ্পীকে গ্রেফতার করে।
আসামীর বিরুদ্ধে শেরে-ই-বাংলা-নগর থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করেন। যার নং-০২(০১)২০২০ ধারা: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত-২০০৩) এর ৯(১)। পরবর্তীতে সুচতুর রাকিব খান বাপ্পী নিজেকে এবং চাকুরী বাঁচাতে তার পিতা ও আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যমে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিবাহের প্রস্তাব দিলে মেনে নেয় বর্ষা। বিবাহের শর্তে জামিন মুক্ত হয়ে গত ২৫-০৩-২০২০ইং তারিখে ২০ (বিশ) লাখ টাকা দেন মোহর ধার্য করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
পরবর্তী সময়ে অত্যন্ত চাতুরতার সাথে চাকুরী বাঁচানোর জন্য বাদিনীকে ভুল বুঝিয়ে উক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালতে আপোষ মুলে স্বাক্ষীর মাধ্যমে প্রত্যাহারের পর বাপ্পী তার কর্মস্থলে পূর্ণবহালের পর বাদিনীকে তালাক দিয়ে বাদিনীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে আস্বস্ত করে যে তার পরিবারের চাপে তালাক দেয়া হয়েছে আবার তিন মাসের মধ্যেই অর্থাৎ তালাক কার্যকর হওয়ার পূর্বেই তালাক প্রত্যাহার করে নেবেন বলে আস্বস্ত করে বাদিনীর সাথে পুনরায় শারীরিক সম্পর্ক করার ফন্দি ফিকির করতে থাকে। অতঃপর উক্ত তালাক প্রত্যাহার না করে রাকিব খান বাপ্পী গত ৩০-০৮-২০২২ ইং তারিখে বাদিনীর বর্তমান বাসায় এসে বিবাহ বহির্ভুত শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য জোর জবরদস্তি করে বাদিনীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করলে নিরুপায় হয়ে পুনরায় ৯৯৯ এ ফোন দিলে পল্লবী থানার পুলিশ এসে রাকিব খান বাপ্পীকে গ্রেফতারে উদ্যত হলে সুচতুর এসআই বাপ্পী তাৎক্ষনিক অর্থাৎ গভীর রাতে ৮ (আট) লাখ টাকার দেনমোহর ধার্য করে পুনরায় বিয়ে করেন।
এর একদিন পর এসআই বাপ্পী বাদিনীকে এই মর্মে অবহিত করে যে তাদের ২টা কাবিননামা আছে সেহেতু শেষের কাবিননামটা প্রত্যাহার করে নেবেন বলে বাদিনীকে ভুল বুঝিয়ে বালাম বহিতে স্বাক্ষর নিয়ে কাজীর অফিস থেকে বাসায় চলে আসে এবং অত্যন্ত চাতুরতার সাথে এসআই বাপ্পী উক্ত তালাকের কথা গোপন রাখে। এরপর গত ১৩-১১-২০২২ইং তারিখ রাত সাড়ে দশটায় বাদিনীর বাসায় এসে বাকবিতন্ডতায় জড়িয়ে পড়লে এসআই বাপ্পী ক্ষিপ্ত হয়ে বলে তোকে তো সেদিন খোলা তালাক দিয়েছি, তোর সাথে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নাই। তুই আমার চাকুরী নষ্ট করছিস, হাজত খাটাইছিস আমার যা ক্ষতি হবার হয়েছে। এরপর জোরপূর্বক বর্ষাকে ধর্ষণ করে।
এসময় ৯৯৯ এ কল দেয়ার চেষ্টা করলে মোবাইল নিয়ে আচার দিয়ে ভেঙে ফেলে। এ ঘটনার পর বাদিনী হালিমা খাতুন বর্ষা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ ঢাকার রিট পিটিশন করলে আদালত পল্লবী থানায় এজাহার করতে আদেশ প্রদান করে। আদেশ পেয়ে পল্লবী থানা মামলা রুজু করে।