ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ৮ নং ওয়ার্ডের লোকমান নামে এক ব্যক্তি ও তার পরিবারকে জনস্মুখে পিটিয়ে দখলীকৃত জমিতে নির্মাণ করা বসতঘর দখল করেন একই এলাকার একাধিক মামলার আসামী জামিনে আসা -সেলিম, ছলেমান, শাহীন আলম,সোহেব , তুহিন ওরফে নাদিম, নাইম ও মৌসুমি।
গত শুক্রবার আনুমানিক দুপুরের দিকে ঘটনাস্থলে তথ্য সংগ্রহের কাজে সাংবাদিক তুহিন খন্দকার সহ আরও ৪ সাংবাদিক উপস্থিত হলে, ওই সময় দিনদুপুর প্রকাশ্যে সাংবাদিক ও জনতার সামনে একজন নিরীহ পরিবারের ওপর হামলা চালায়, ঠিক সেই মূহুর্তে সাংবাদিকরা ভিডিও ফুটেজ নিলে সাংবাদিকদের ওপর চওড়া হয়ে প্রথমে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে এবং পরে ভিডিও ফুটেজ নষ্ট করার জন্য ক্যামেরা ভাংচুর করে,এতে ৪ সাংবাদিক আহত হন। আহত সাংবাদিকরা বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সাংবাদিক তুহিন খন্দকার সহ বোরহানউদ্দিনের ৪ সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে ভোলার কোর্টে। বিজ্ঞ আদালত মামলার তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ভোলার ডিবি পুলিশ কে। হামলার ভিডিও ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও মামলা নেয়নি বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ, এমন অভিযোগ করেছে তুহিন খন্দকার। আশা করি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে। স্হানীয় সূত্রে জানা যায় -সেলিম, ছলেমান, শাহীন আলম,সোহেব , তুহিন ওরফে নাদিম, নাইম এরা পূর্ব থেকে এলাকার নিরীহ লোকজনের ওপর অত্যাচার, জুলুম করে আসছে, এদের ভয়ে কেউ এলাকায় কথা পর্যন্ত বলতে পারেনা,তারা এতোটাই ভয়ংকর প্রকৃতির লোক।
এদের মধ্যে সেলিমের বিরুদ্ধে, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা রয়েছে এছাড়াও তুহিন ওরফে নাদীম এর বিরুদ্ধে, হাসান নগর ইউনিয়নে নারী ও শিশু ধর্ষণ মামলায় সাজা দেয় বিজ্ঞ আদালত। পরে কয়েকমাস জেল খেটে মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিনে আসেন। ছলেমান এর বিরুদ্ধে এসিড মামলা ও ভুমি দখলের মামলা আছে। বলে জানা যায়। জোরপূর্বক জমি দখলের মামলাও চলমান রয়েছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লোকমানের বিল্ডিং বসতঘর প্রতিপক্ষরা ভাংচুর কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে জানা যায়। ভোলা জেলা অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি তুহিন খন্দকারের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় সাংবাদিক ঐক্য ফোরাম বোরহানউদ্দিন শাখার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচির কার্যক্রম প্রক্রিয়া চলছে।