সদ্য সমাপ্ত বছরের শেষ দুই মাস দাবা অঙ্গনে খুব ব্যস্ততা ছিল। প্রিমিয়ার লিগ দাবা হয়েছে। সেটা শেষ হতে না হতেই শুরু হয় জাতীয় দাবা। দাবার দুই বড় প্রতিযোগিতায় ছিলেন না দেশের অন্যতম গ্র্যান্ডমাস্টার আব্দুল্লাহ আল রাকিব।
আজ রোববার থেকে শুরু হয়েছে নতুন বছর। এই বছরে দাবা বোর্ডে ফেরার ইচ্ছে থাকলেও কোন সময় আবার দাবা বোর্ডে বসবেন সেটা নির্দিষ্ট করে বলেননি দেশের চতুর্থ গ্র্যান্ডমাস্টার,‘অবশ্যই দাবা বোর্ডে ফিরতে চাই। কখন ফিরতে পারব সেটা বলতে পারছি না।’
দাবা রাকিবের ধ্যানজ্ঞান ও ভালোবাসা। সেই ভালোবাসা থেকে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ দূরে এই গ্র্যান্ডমাস্টার। এই দূরে থাকার অনুভূতিটা ব্যক্ত করতে পারলেন না নারায়ণগঞ্জের এই দাবাড়ু,‘এটা আসলে খুব অন্য রকম লাগছে কিন্তু অনুভূতি প্রকাশের শব্দও পাচ্ছি না।’
নারায়ণগঞ্জে বাসায় থাকলেও পত্র-পত্রিকায় দাবার খবর পড়েন। তরুণ দাবাড়ুদের পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে এই গ্র্যান্ডমাস্টারের, ‘মনন বেশ দারুণ করেছে। নতুন দাবাড়ুরা উঠে আসুক সেটাই কামনা।’ এবার জাতীয় দাবায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এনামুল হোসেন রাজীব। রাকিবের পরে গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়া রাজীব এ নিয়ে ছয় বার জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়ন হয়ে নিয়াজ ও রিফাতের সমান শিরোপার অংশীদার হয়েছেন। গত ছয় বছরের মধ্যে চারবারই রাজীব চ্যাম্পিয়ন। সেখানে রাকিবের জাতীয় শিরোপা মাত্র দু’টি। সর্বকনিষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়া রাজীব তাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন,‘এটা তুলনা করার কিছু নাই। একেক জন একেক রকম ফলে তার পারফরম্যান্স ও ফলাফল একেক রকম।’
দাবা ধ্যানজ্ঞান থাকা রাকিবের ছেদ শুরু হয় করোনা সময় থেকে। করোনায় অন্য দাবাড়ুরা অনলাইনে প্রতিযোগিতা খেলতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। রাকিব সেটাতে স্বাচ্ছন্দ্য ছিলেন না। ফলে অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট মিস করেছেন। করোনা পরবর্তী সময় কাটিয়ে দাবা সাধারণ বোর্ডে ফিরলেও তখন আবার প্রাণপ্রিয় মাকে হারান এই গ্র্যান্ডমাস্টার। যার অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতাতেই গ্র্যান্ডমাস্টার হয়েছিলেন রাকিব। মাতৃবিয়োগের শোকেও দাবা থেকে ছিলেন দূরে। গত তিন বছরে হাতে গোণা কয়েকটি টুর্নামেন্ট খেলেছেন অনিয়মিতভাবে।