কাতার বিশ্বকাপের সময় পর্তুগালের জাতীয় দলের কোচের সঙ্গে ঝামেলা হয় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। এর আগে ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডের কোচের বিরুদ্ধেও মুখ খুলে বিপদের মুখে পড়তে হয় রোনালদোকে। এবার এই মহাতারকাকে নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। কাতার বিশ্বকাপে রাজনীতির শিকার হয়েছেন পর্তুগিজ তারকা, এমন অভিযোগ করলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।
বিশ্বকাপের নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে (নকআউট পর্বে) রোনালদোকে প্রথম একাদশে রাখেননি দলটির কোচ ফার্নান্দো স্যান্তোস। সেই ঘটনার রেশ ধরে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিস্ফোরক তথ্য দিয়ে বলেছেন, রোনালদো রাজনীতির শিকার।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘রোনালদোর সঙ্গে যা হয়েছে, সেটা রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মতো। পর্তুগাল রোনালদোকে নষ্ট করে দিচ্ছে। খেলার শেষ ৩০ মিনিটের জন্য তাকে নামানোর অর্থ, তাঁর মতো ফুটবলারের মনোবল নষ্ট করে দেওয়া। ওরা এভাবে রোনালদোর সব মানসিক শক্তি কেড়ে নিতে চেয়েছিল।’
মূলত ইসরায়েল-প্যালেস্তাইন বিতর্কে অতীতে প্যালেস্তাইনের যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রোনালদো। ইসরায়েলের সঙ্গে তুরস্কের কূটনৈতিক সম্পর্ক ভাল নয়। ধারণা করা হচ্ছে সে কারণেই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কঠিন সময়ে রোনালদোর পাশে থাকার বার্তা দিলেন।
শুধু ফুটবল নয়, ২০২২ সালে রোনালদোর ব্যক্তিগত জীবনেও দুঃখ ছিল। গেল এপ্রিলে সদ্যোজাত পুত্র সন্তানের মৃত্যু হয়। জন্মের কয়েকদিন পর মৃত্যু হয় তার পুত্র সন্তানের।