শেষ কিছু দিনে ইংলিশ বয়সভিত্তিক ফুটবলে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন ফেলিপে রদ্রিগেজ-জেন্তিলে ‘ফেলিপিনিও’। প্রিস্টন নর্থ এন্ডের হয়ে খেলা ১৬ বছর বয়সী এই বিস্ময় বালক রীতিমতো গোলমেশিন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন নিজেকে। তাকে পেতে এখন মরিয়া হয়ে আছে ম্যানচেস্টার সিটি ও ইউনাইটেড, সঙ্গে এই দৌড়ে আছে লিভারপুলও। ব্রাজিলে জন্ম হওয়া স্বত্বেও তাকে পেতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা, জানাচ্ছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম।
ফেলিপিনিওর জন্ম ২০০৬ সালের ৪ অক্টোবর। তার জন্মভূমি ব্রাজিলে। তবে তার বাবা-মা দুজনই আর্জেন্টাইন। সে কারণে ফেলিপিনিওর কাছে ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা দুই দেশের নাগরিকত্বই আছে।
সেই ফেলিপিনিও শেষ কিছু দিনে ইংলিশ বয়সভিত্তিক ফুটবলে আগুন ঝরাচ্ছেন রীতিমতো। গত ৯ ডিসেম্বর প্রিস্টন ইউনাইটেডের হয়ে রদারহ্যামের বিপক্ষে ম্যাচে খেলেছিলেন তিনি। সে ম্যাচে একাই তিনি করেছিলেন ৫ গোল। সব মিলিয়ে শেষ ১০ ম্যাচে তিনি করেছেন ১৮ গোল।
চলতি বছরের মাঝামাঝিতে ক্লাবটিতে যোগ দেওয়া এই বিস্ময়বালক এমন পারফর্ম্যান্স দিয়ে আকর্ষণে চলে এসেছেন ইংল্যান্ডের শীর্ষ ক্লাবগুলোর। তাকে পেতে চাইছে লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি ও ইউনাইডেড। সঙ্গে টটেনহ্যাম আর নিউক্যাসল ইউনাইটেডও তাকে দলে ভেড়াতে চাইছে। শেষমেশ হয়তো তিনি ইউরোপের শীর্ষ কোনো ক্লাবে খেলবেনও। তখন জাতীয় দলের দরজাও খুলে যাবে তার সামনে। তবে তখন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার দ্বৈত নাগরিকত্বের কোনটাকে বেছে নেবেন তিনি? এ নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই।
আর্জেন্টিনার সংবাদ মাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানাচ্ছে, তিনি জাতীয় পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বেছে না নিয়ে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকেই বেছে নিতে পারেন। তার আভাস দিয়েছেন ফেলিপিনিও নিজেই। সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন, যাতে মিলেছে এই আভাস। সুদানানালিটিক্সের তাকে নিয়ে করা একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে, সেখানে জুড়ে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার পতাকার দুটো ইমোজি। আর তাতেই ধারণা করা হচ্ছে, ব্রাজিলকে নয়, আর্জেন্টিনাকেই বেছে নিতে চলেছেন তিনি।