ওমিক্রনের নয়া স্ট্রেন বিএফ৭ -এর হানায় হুলস্থূল পড়ে গেছে চীনে। দাবানলের মতো ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। বিএফ৭ অত্যন্ত সংক্রামক। একজনের থেকে ১৮ জন আক্রান্ত হতে পারেন বলে মনে করছেন ভাইরোলজিস্টরা।
২০২০ সালে মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে করোনাভাইরাস একাধিকবার রূপ বদলেছে। তবে ওমিক্রন ছাড়িয়ে গেছে সবকিছুকে। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রয়ে গেছে করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট। চীনে ছড়িয়ে পড়া বিএফ৭, ওমিক্রনের বিএ৫.২.১.৭ ভ্যারিয়েন্টের সাব ভ্যারিয়েন্ট।
বিএফ৭ -এর সংক্রমণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি: চীনের কোভিড পরিস্থিতি থেকে এটা স্পষ্ট, বিএফ৭ ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিএফ৭ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়ায়। অল্প দিনের ইনকিউবেশন পিরিয়ড। সহজেই মানুষকে সংক্রমিত করে। শুধু তাই নয়, কোভিড ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নেওয়ার পরেও বিএফ৭-এর হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
বিএফ৭ সংক্রমণের ৭ লক্ষণ : রিপোর্ট অনুযায়ী, বিএফ৭ সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শ্বাসযন্ত্র। যে লক্ষণগুলো সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে – জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, সর্দি এবং ক্লান্তি। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বিএফ৭ আক্রান্তদের অনেকের বমি এবং ডায়রিয়া হতেও দেখা যাচ্ছে। করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের মতো যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাদের বিএফ৭-এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
এক মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হতে পারে: পিয়ার রিভিউ ছাড়াই প্রিপ্রিন্ট হিসেবে পোস্ট করা একটি মডেল অনুসারে, আগামী কয়েক মাসে বিএফ৭ সংক্রমণে প্রায় এক মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
৩ মাসের মধ্যে চীনের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ বিএফ৭-এ আক্রান্ত হবেন: চীনে আচমকা সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে মহামারি বিশেষজ্ঞ এরিক ফেইগল ডিংয়ের একটি টুইট ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার দাবি, চীনে করোনায় মৃতের সংখ্যা কয়েক লাখ ছাড়িয়ে যাবে। এরিকের অনুমান, আগামী ৩ মাসের মধ্যে চিনের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হবেন। হাসপাতাল থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করে এরিক লিখেছেন, ‘এটা কেবল শুরু’।
বিএফ৭ -এর আরও বেশি: বিএফ৭ -এর রিপ্রোডাকশন নম্বর অথবা আরও ১০ থেকে ১৮.৬। এর মানে হলো, যখন একজন এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হন, তার থেকে ১০-১৮.৬ জন সংক্রমিত হতে পারেন। উপসর্গহীন বাহকদের ধরলে এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে।