ঢাকা ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল পটুয়াখালীতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়া স্মৃতি পদক পেলেন জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজশাহী জেলার সদস্য সচিব গণতন্ত্রের স্বার্থেই নির্বাচন জরুরি : যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না তাঁতীলীগের সভাপতি ইকবালের যত কান্ড, জনমনে প্রশ্ন কে এই ইকবাল? সিএমপির পাহাড়তলী থানার মাদক বিরোধী অভিযানে ভুয়া সাংবাদিক ফারুক মাদকসহ গ্রেফতার অন্তর্বতী সরকারের ১শ দিন পার হলেও সচিবালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরের এখনও আওয়ামী লীগের দোসরা বহাল পূর্বাচলে দুর্নীতির রাজত্ব গড়েছেন নায়েব আলী শরীফ ডঃ মোশাররফ ফাউন্ডেশন কলেজ নবীনবরণ উৎসব ২০২৪ পালিত। মুগদায় ১০ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

বিনিয়োগকারীদের পুঁজি নেই আড়াই হাজার কোটি টাকা

একদিন উত্থান আর চারদিন সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে ডিসেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পার করল দেশের পুঁজিবাজার। আলোচিত এই সপ্তাহে লেনদেন, সূচক এবং অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। তাতে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন অর্থাৎ পুঁজি কমেছে ২ হাজার ৮৮৭ কোটি ৩২ লাখ ৮১ হাজার ৭৩৭ টাকা। সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ চিত্র দেখা গেছে।

গত সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে লেনদেনের শুরুতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। আর শেষ দিন বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬১ হাজার ৬০ কোটি টাকা। অর্থাৎ টাকার অংকে পুঁজি কমেছে ২৬৬৭ কোটি টাকা। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই ধারা দেখা গেছে।

শুক্র ও শনিবার বাদে পুঁজিবাজারে ১৮ থেকে ২২ ডিসেম্বরের সপ্তাহে মোট পাঁচ কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে সপ্তাহের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ কর্মদিবসে সূচক পতনের মাধ্যমে লেনদেন হয়। এর পরদিন বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবসে সূচকের সামান্য উত্থান হয়েছে। তাতে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৪৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২১২টির।

লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৫৭ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ১৯৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় ১ হাজার ৬৮১ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ৬৫২ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৪৫৫ কোটি ৬৪ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৭ টাকা। অর্থাৎ ৭৭৪ কোটি ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ১৪৫ টাকা লেনদেন কমেছে, যা শতাংশের হিসাবে ৩১ দশমিক ৫৪ শতাংশ কম।

গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয়েছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, বসুন্ধরা পেপার মিলস, মুন্নু এগ্রো অ্যান্ড জেনোরেল মেশিনারিজ, জেনেক্স ইনফোসিস, ওরিয়ন ফার্মা, ওরিয়ন ইনফিউশন, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, এপেক্স ফুডস লিমিটেড এবং জিমিনী সী ফুড লিমিটেডের শেয়ার।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই অবস্থায় লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ১২০ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৩২৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এসময়ে লেনদেন হয়েছে ৪৪ কোটি ৫২ লাখ ৪৭ হাজার ৬০৭ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৭৬ কোটি ৮৬ লাখ ২৩ হাজার ৮৩ টাকা।

লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪টির, কমেছে ৭৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল

বিনিয়োগকারীদের পুঁজি নেই আড়াই হাজার কোটি টাকা

আপডেট সময় ০১:১৪:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২

একদিন উত্থান আর চারদিন সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে ডিসেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পার করল দেশের পুঁজিবাজার। আলোচিত এই সপ্তাহে লেনদেন, সূচক এবং অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। তাতে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন অর্থাৎ পুঁজি কমেছে ২ হাজার ৮৮৭ কোটি ৩২ লাখ ৮১ হাজার ৭৩৭ টাকা। সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ চিত্র দেখা গেছে।

গত সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে লেনদেনের শুরুতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। আর শেষ দিন বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬১ হাজার ৬০ কোটি টাকা। অর্থাৎ টাকার অংকে পুঁজি কমেছে ২৬৬৭ কোটি টাকা। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই ধারা দেখা গেছে।

শুক্র ও শনিবার বাদে পুঁজিবাজারে ১৮ থেকে ২২ ডিসেম্বরের সপ্তাহে মোট পাঁচ কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে সপ্তাহের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ কর্মদিবসে সূচক পতনের মাধ্যমে লেনদেন হয়। এর পরদিন বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবসে সূচকের সামান্য উত্থান হয়েছে। তাতে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৪৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২১২টির।

লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৫৭ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ১৯৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় ১ হাজার ৬৮১ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ৬৫২ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৪৫৫ কোটি ৬৪ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৭ টাকা। অর্থাৎ ৭৭৪ কোটি ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ১৪৫ টাকা লেনদেন কমেছে, যা শতাংশের হিসাবে ৩১ দশমিক ৫৪ শতাংশ কম।

গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয়েছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, বসুন্ধরা পেপার মিলস, মুন্নু এগ্রো অ্যান্ড জেনোরেল মেশিনারিজ, জেনেক্স ইনফোসিস, ওরিয়ন ফার্মা, ওরিয়ন ইনফিউশন, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, এপেক্স ফুডস লিমিটেড এবং জিমিনী সী ফুড লিমিটেডের শেয়ার।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই অবস্থায় লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ১২০ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৩২৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এসময়ে লেনদেন হয়েছে ৪৪ কোটি ৫২ লাখ ৪৭ হাজার ৬০৭ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৭৬ কোটি ৮৬ লাখ ২৩ হাজার ৮৩ টাকা।

লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪টির, কমেছে ৭৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।