ঢাকা ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর পাশাপাশি পরবর্তী সিরিজে চোখ বাংলাদেশের

  • ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৪৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৫০ বার পড়া হয়েছে

আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতে হেরে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। ফলে তাদের সামনে এখন সিরিজে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোই লক্ষ্য। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আজ (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ-আফগানিস্তান মুখোমুখি হবে। এই ম্যাচটা জিতেই দেশ ফিরতে চান রিশাদ হোসেন। একইসঙ্গে দেশের মাটিতে আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ নিয়েও ভাবতে শুরু করেছে টাইগাররা।

তৃতীয় ম্যাচের আগে আবুধাবিতে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়েছেন রিশাদ। এই লেগস্পিন অলরাউন্ডার বলেন, ‘যেহেতু ২ ম্যাচ হেরেছি, আমাদের সবার প্ল্যান এখন শেষ ম্যাচ জিতে দেশে ফিরে পরের সিরিজে কীভাবে ভালো করা যায়। খারাপ দল ভালো দল না আসলে। আমরা সবাই ভুল করেছি। দল হিসেবে খারাপ সময় যাচ্ছে। দলের ভেতর আলোচনা হচ্ছে কীভাবে এটা নিয়ে কাজ করব। সবাই সবার দিক থেকে ১১০% দিচ্ছে। আশা করছি এখান থেকে তাড়াতাড়ি বের হয়ে আসব।’

বাংলাদেশের নিত্যসঙ্গী অধারাবাহিক ব্যাটিং–ই আফগান সিরিজেও আলোচনার কেন্দ্রে। বোলাররা প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের ওপর ছড়ি ঘোরালেও, প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছেন না ব্যাটাররা। এ প্রসঙ্গে রিশাদ বলেন, ‘আসলে প্রতিপক্ষের বোলার কেমন করছে সেটা আমাদের (ভাবার ব্যাপার) না। সবাই একটু একটু ভুল করছি দল হিসেবে। চেষ্টা করছি ভুলটা কীভাবে রিকোভার করা যায়। আশা করছি তাড়াতাড়ি (ফিরব এই পরিস্থিতি কাটিয়ে)।’

সিনিয়র ক্রিকেটারদের অনেকেই ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ার প্রভাব পড়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রিশাদ জানান, ‘আসলে এটা নিয়ে সেরকম কিছু বলার নেই। একটা নিউ জার্নিতে যাচ্ছি। এই সময়ে একটু সবার সাপোর্ট বা বিশ্বাস থাকলে বেটার কিছু করব ইনশাআল্লাহ।’

প্রসঙ্গত, তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করা বাংলাদেশ প্রথম ওয়ানডেতে মাত্র ২২১ রানে অলআউট হয়ে যায়। ৫ উইকেটে হার দিয়ে সিরিজ শুরু করে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল। বোলারদের নৈপুণ্যে মাত্র ১৯০ রানে থামে আফগানদের দৌড়। কিন্তু চূড়ান্ত অবনতি ঘটে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের। মাত্র ১০৯ রানে গুটিয়ে নিশ্চিত করে সিরিজ হার। অথচ সিরিজটি র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর পাশাপাশি পরবর্তী সিরিজে চোখ বাংলাদেশের

আপডেট সময় ১০:৪৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতে হেরে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। ফলে তাদের সামনে এখন সিরিজে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোই লক্ষ্য। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আজ (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ-আফগানিস্তান মুখোমুখি হবে। এই ম্যাচটা জিতেই দেশ ফিরতে চান রিশাদ হোসেন। একইসঙ্গে দেশের মাটিতে আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ নিয়েও ভাবতে শুরু করেছে টাইগাররা।

তৃতীয় ম্যাচের আগে আবুধাবিতে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়েছেন রিশাদ। এই লেগস্পিন অলরাউন্ডার বলেন, ‘যেহেতু ২ ম্যাচ হেরেছি, আমাদের সবার প্ল্যান এখন শেষ ম্যাচ জিতে দেশে ফিরে পরের সিরিজে কীভাবে ভালো করা যায়। খারাপ দল ভালো দল না আসলে। আমরা সবাই ভুল করেছি। দল হিসেবে খারাপ সময় যাচ্ছে। দলের ভেতর আলোচনা হচ্ছে কীভাবে এটা নিয়ে কাজ করব। সবাই সবার দিক থেকে ১১০% দিচ্ছে। আশা করছি এখান থেকে তাড়াতাড়ি বের হয়ে আসব।’

বাংলাদেশের নিত্যসঙ্গী অধারাবাহিক ব্যাটিং–ই আফগান সিরিজেও আলোচনার কেন্দ্রে। বোলাররা প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের ওপর ছড়ি ঘোরালেও, প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছেন না ব্যাটাররা। এ প্রসঙ্গে রিশাদ বলেন, ‘আসলে প্রতিপক্ষের বোলার কেমন করছে সেটা আমাদের (ভাবার ব্যাপার) না। সবাই একটু একটু ভুল করছি দল হিসেবে। চেষ্টা করছি ভুলটা কীভাবে রিকোভার করা যায়। আশা করছি তাড়াতাড়ি (ফিরব এই পরিস্থিতি কাটিয়ে)।’

সিনিয়র ক্রিকেটারদের অনেকেই ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ার প্রভাব পড়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রিশাদ জানান, ‘আসলে এটা নিয়ে সেরকম কিছু বলার নেই। একটা নিউ জার্নিতে যাচ্ছি। এই সময়ে একটু সবার সাপোর্ট বা বিশ্বাস থাকলে বেটার কিছু করব ইনশাআল্লাহ।’

প্রসঙ্গত, তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করা বাংলাদেশ প্রথম ওয়ানডেতে মাত্র ২২১ রানে অলআউট হয়ে যায়। ৫ উইকেটে হার দিয়ে সিরিজ শুরু করে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল। বোলারদের নৈপুণ্যে মাত্র ১৯০ রানে থামে আফগানদের দৌড়। কিন্তু চূড়ান্ত অবনতি ঘটে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের। মাত্র ১০৯ রানে গুটিয়ে নিশ্চিত করে সিরিজ হার। অথচ সিরিজটি র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।