ঢাকা ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

 গোয়েন্দা পুলিশের তৎপরতায় বিকাশ প্রতারনা চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার

বরগুনা জেলা সাইবার ক্রাইম টিম ও গোয়েন্দা পুলিশ টিমের তৎপরতায় বিকাশ প্রতারনা চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ০১ মাস যাবত বরগুনা জেলার বিভিন্ন থানা হতে সাধারণ লোকজন বিকাশ প্রতারনার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে পুলিশ সুপার, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, বরগুনা বরাবর অভিযোগ পেয়ে আসছিলেন।

জনাব মোহাম্মদ আল মামুন শিকদার, পুলিশ সুপার, বরগুনা সাহেব অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ পূর্বক অপরাধী সনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল ইনচার্জকে নিদের্শ প্রদান করেন।

জেলা সাইবার ক্রাইম টিম গত ০১ মাস যাবত নিবির পর্যবেক্ষন ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধী সনাক্ত করেন।

পুলিশ সুপার, বরগুনা এর সার্বিক দিক নিদের্শনায় সাইবার ক্রাইম টিম ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) যৌথভাবে ০৫/১০/২০২৫ তারিখ (রবিবার) বেলা অনুমান ০৪.৩০ ঘটিকায় বরগুনা জেলার আমতলী থানাধীন উত্তর টিয়াখালী এলাকা হতে আসামী (১) মোঃ সুজন, পিতা-মোঃ নাসির উদ্দিন হাওলাদার, সাং-দেবপুর, ডাকঘর-মাছুয়াখালী, থানা-কলাপাড়া, জেলা-পটুয়াখালী (২) আব্দুর রহমান (২৫), পিতা-মোঃ দেলোয়ার মুন্সী, (৩) সুমি (২২), স্বামী-আব্দুর রহমান, উত্তয় সাং-উত্তর টিয়াখালী, ডাকঘর-চলাভাঙ্গা, থানা-আমতলী, জেলা-বরগুনাদের গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক চক্রের সদস্যরা স্বীকার করে যে, তারা দীর্ঘ দিন যাবত বিভিন্ন লোকজনকে ফোন করে আত্মীয় স্বজন অসুস্থ বা অন্য কোন স্পর্শকাতর বিষয়ের কথা বলে এই ধরনের প্রতারনামূলক কর্মকান্ড করে আসছে। তাদের নিকট হতে বিকাশ প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত ০৫ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। বিকাশের মাধ্যমে প্রতারনার স্বীকার ব্যক্তিদের মধ্য হতে জনৈক মোঃ রাকিবুল খান (২৫), পিতা-মোঃ আলতাফ হোসেন, মাতা-লাইজু বেগম, সাং-গাজীপুর, ডাকঘর-আঠারগাছিয়া, থানা-আমতলী, জেলা-বরগুনা এর বড় ভাই মোঃ রাসেল খান (২৭) গত প্রায় ০৩ বছর যাবত দুবাই (প্রবাসী) অসুস্থ, নাক মুখ দিয়া রক্ত পড়ার কথা বলে বিকাশের মাধ্যমে টাকা গ্রহন সংক্রান্তে আমতলী থানার মামলা নং- ০৭, তাং- ০৫/১০/২০২৫, ধারা- ৪০৬/৪২০ পেনাল কোড রুজু করা হয়েছে।

মামলার বাদী গত ২১/০৯/২০২৫ খ্রিঃ তারিখ বিভিন্ন সময়ে প্রতারকের দেওয়া বিকাশ নাম্বারে পর্যায়ক্রমে ৩৮,০০০/- টাকা প্রেরণ করেন।

আসামীরা আন্তঃজেলা প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে জানা যায় এবং তাদের বিরুদ্ধে বরগুনা জেলা এবং অন্যান্য জেলায় প্রতারনাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে। উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে জড়িত আরোও আসামীদের সনাক্তসহ গ্রেফতারের জন্য জেলা সাইবার ক্রাইম টিম ও গোয়েন্দা পুলিশ টিম একত্রে কাজ করছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

 গোয়েন্দা পুলিশের তৎপরতায় বিকাশ প্রতারনা চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৮:৪০:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

বরগুনা জেলা সাইবার ক্রাইম টিম ও গোয়েন্দা পুলিশ টিমের তৎপরতায় বিকাশ প্রতারনা চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ০১ মাস যাবত বরগুনা জেলার বিভিন্ন থানা হতে সাধারণ লোকজন বিকাশ প্রতারনার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে পুলিশ সুপার, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, বরগুনা বরাবর অভিযোগ পেয়ে আসছিলেন।

জনাব মোহাম্মদ আল মামুন শিকদার, পুলিশ সুপার, বরগুনা সাহেব অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ পূর্বক অপরাধী সনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল ইনচার্জকে নিদের্শ প্রদান করেন।

জেলা সাইবার ক্রাইম টিম গত ০১ মাস যাবত নিবির পর্যবেক্ষন ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধী সনাক্ত করেন।

পুলিশ সুপার, বরগুনা এর সার্বিক দিক নিদের্শনায় সাইবার ক্রাইম টিম ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) যৌথভাবে ০৫/১০/২০২৫ তারিখ (রবিবার) বেলা অনুমান ০৪.৩০ ঘটিকায় বরগুনা জেলার আমতলী থানাধীন উত্তর টিয়াখালী এলাকা হতে আসামী (১) মোঃ সুজন, পিতা-মোঃ নাসির উদ্দিন হাওলাদার, সাং-দেবপুর, ডাকঘর-মাছুয়াখালী, থানা-কলাপাড়া, জেলা-পটুয়াখালী (২) আব্দুর রহমান (২৫), পিতা-মোঃ দেলোয়ার মুন্সী, (৩) সুমি (২২), স্বামী-আব্দুর রহমান, উত্তয় সাং-উত্তর টিয়াখালী, ডাকঘর-চলাভাঙ্গা, থানা-আমতলী, জেলা-বরগুনাদের গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক চক্রের সদস্যরা স্বীকার করে যে, তারা দীর্ঘ দিন যাবত বিভিন্ন লোকজনকে ফোন করে আত্মীয় স্বজন অসুস্থ বা অন্য কোন স্পর্শকাতর বিষয়ের কথা বলে এই ধরনের প্রতারনামূলক কর্মকান্ড করে আসছে। তাদের নিকট হতে বিকাশ প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত ০৫ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। বিকাশের মাধ্যমে প্রতারনার স্বীকার ব্যক্তিদের মধ্য হতে জনৈক মোঃ রাকিবুল খান (২৫), পিতা-মোঃ আলতাফ হোসেন, মাতা-লাইজু বেগম, সাং-গাজীপুর, ডাকঘর-আঠারগাছিয়া, থানা-আমতলী, জেলা-বরগুনা এর বড় ভাই মোঃ রাসেল খান (২৭) গত প্রায় ০৩ বছর যাবত দুবাই (প্রবাসী) অসুস্থ, নাক মুখ দিয়া রক্ত পড়ার কথা বলে বিকাশের মাধ্যমে টাকা গ্রহন সংক্রান্তে আমতলী থানার মামলা নং- ০৭, তাং- ০৫/১০/২০২৫, ধারা- ৪০৬/৪২০ পেনাল কোড রুজু করা হয়েছে।

মামলার বাদী গত ২১/০৯/২০২৫ খ্রিঃ তারিখ বিভিন্ন সময়ে প্রতারকের দেওয়া বিকাশ নাম্বারে পর্যায়ক্রমে ৩৮,০০০/- টাকা প্রেরণ করেন।

আসামীরা আন্তঃজেলা প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে জানা যায় এবং তাদের বিরুদ্ধে বরগুনা জেলা এবং অন্যান্য জেলায় প্রতারনাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে। উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে জড়িত আরোও আসামীদের সনাক্তসহ গ্রেফতারের জন্য জেলা সাইবার ক্রাইম টিম ও গোয়েন্দা পুলিশ টিম একত্রে কাজ করছে।