ঢাকা ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে দাফনের ১৯ দিন পর কবর থেকে স্কুলছাত্রী সোহাগীর লাশ উত্তোলন

কুমিল্লার মুরাদনগরে দাফনের ১৯ দিন পর আদালতের নির্দেশে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোহাগী আক্তারের (১৩) মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করেছে প্রশাসন।

সোমবার (৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ৯নং কামাল্লা ইউনিয়নের কামারচর কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত সোহাগী কামারচর গ্রামের আল-আমীনের প্রথম স্ত্রীর বড় মেয়ে। সে কামারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর সোহাগীর রহস্যজনক মৃত্যুর পর কোনো প্রকার পুলিশকে না জানিয়ে তার বাবা তড়িঘড়ি করে দাফন সম্পন্ন করেন। এতে এলাকাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

অভিযোগ উঠেছে, সোহাগীকে তার সৎ মা ও পিতা দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন করে আসছিলেন। ঘটনার দিনও নির্যাতনের এক পর্যায়ে তারা তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে নিহতের নানা কালু মিয়া দুই দিন পর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যেখানে সোহাগীর আপন পিতা আল-আমীন ও সৎ মাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

এদিকে আদালতের নির্দেশে দাফনের ১৯ দিন পর সোমবার সকালে প্রশাসন ও পুলিশের উপস্থিতিতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এ সময় মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট,
সাকিব হাছান নখান , থানা পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খান বলেন,
আদালতের নির্দেশে সোহাগির লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

মুরাদনগর থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, গত (২০ সেপ্টেম্বর) নিহতের নানা কালু মিয়া দুইজনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। সেই প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা পাঠানো হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট আসলে ঘটনার মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

মুরাদনগরে দাফনের ১৯ দিন পর কবর থেকে স্কুলছাত্রী সোহাগীর লাশ উত্তোলন

আপডেট সময় ০৬:৪৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

কুমিল্লার মুরাদনগরে দাফনের ১৯ দিন পর আদালতের নির্দেশে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোহাগী আক্তারের (১৩) মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করেছে প্রশাসন।

সোমবার (৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ৯নং কামাল্লা ইউনিয়নের কামারচর কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত সোহাগী কামারচর গ্রামের আল-আমীনের প্রথম স্ত্রীর বড় মেয়ে। সে কামারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর সোহাগীর রহস্যজনক মৃত্যুর পর কোনো প্রকার পুলিশকে না জানিয়ে তার বাবা তড়িঘড়ি করে দাফন সম্পন্ন করেন। এতে এলাকাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

অভিযোগ উঠেছে, সোহাগীকে তার সৎ মা ও পিতা দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন করে আসছিলেন। ঘটনার দিনও নির্যাতনের এক পর্যায়ে তারা তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে নিহতের নানা কালু মিয়া দুই দিন পর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যেখানে সোহাগীর আপন পিতা আল-আমীন ও সৎ মাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

এদিকে আদালতের নির্দেশে দাফনের ১৯ দিন পর সোমবার সকালে প্রশাসন ও পুলিশের উপস্থিতিতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এ সময় মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট,
সাকিব হাছান নখান , থানা পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খান বলেন,
আদালতের নির্দেশে সোহাগির লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

মুরাদনগর থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, গত (২০ সেপ্টেম্বর) নিহতের নানা কালু মিয়া দুইজনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। সেই প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা পাঠানো হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট আসলে ঘটনার মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।