লিওনেল মেসি সর্বকালের সেরা কি না, এমন আলোচনা শুরু হয়েছিল বছর দশেক আগেই। তবে শেষমেশ তা এসে ঠেকেছিল তার আন্তর্জাতিক শিরোপায়। গেল বছর কোপা আমেরিকা, চলতি বছর ফিনালিসিমা জেতার পরও সে আলোচনার কিছু অংশ যেন রয়েই গিয়েছিল। তবে গত রোববারের বিশ্বকাপজয় যেন সে সব আলোচনাতে ইতিই টেনে দিয়েছে।
বৈশ্বিক গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সাবেক ফুটবল কিংবদন্তিদের একটা বড় অংশ মেনে নিচ্ছেন বিষয়টা। পেপ গার্দিওলা যেমন বললেন, ‘সবারই বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্ন মত থাকতে পারে, কিন্তু লিওনেল মেসি যে সর্বকালের সেরা, তা নিয়ে কেউই সন্দেহ পোষণ করতে পারে না।’
লিওনেল মেসি তার ক্যারিয়ারে যা করেছেন, সেসবকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলার মতো কাউকেও দেখছেন না গার্দিওলা। তিনি বলেন, ‘আমার চোখে সে সেরা; সে যা করেছে, তাতে তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে কে, এটা বোঝা মুশকিল। মানুষ পেলে, ডি স্টেফানো কিংবা ম্যারাডোনাদেরও দেখেছে…’
তবে গার্দিওলা জানালেন, মেসি যদি বিশ্বকাপ না-ও জিততেন, তাহলেও তার চোখে সর্বকালের সেরাই থাকতেন। তিনি বলেন, ‘মতামতগুলো সাধারণত আবেগিই হয়ে থাকে, কিন্তু পক্ষান্তরে, সে যদি বিশ্বকাপ না-ও জিতত, তাহলেও মতটা, আমার মতটা বদলে যেত না। তবে এটাও স্বাভাবিক যে মানুষ আপনাকে মূল্যায়নের জন্য আপনার জেতার অপেক্ষা করে।’
পুরো ক্যারিয়ারে তার শিষ্যদের অনেকেই বিশ্বকাপ জিতেছে। এবার সেই দলে যোগ দিয়েছেন ইউলিয়ান অ্যালভারেজ। তার সাবেক শিষ্য নিকলাস অটামেন্ডিও পেয়েছেন এই স্বাদ। সে কারণে গার্দিওলা বেশ আনন্দিত।
তিনি বলেন, ‘ইউলিয়ান অ্যালভারেজের জন্য আমরা অনেক খুশি। তাকে অভিনন্দন। অটামেন্ডিকেও অভিনন্দন। ব্যক্তিগতভাবে মেসিকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আর্জেন্টিনাকেও, যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে। আমরা ইউলিয়ানের জন্য যারপরনাই আনন্দিত। সে অনেক খেলেছে, তার অবদানটা অনস্বীকার্য, আমাদের দলে এখন একজন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আছে।’
তবে বিশ্বকাপ ফুটবল শেষ হতেই এবার শুরু ক্লাব ফুটবলের ডামাডোল। অ্যালভারেজকে কবে পাওয়া যাবে, এমন এক প্রশ্নের জবাবে গার্দিওলা বলেন, ‘সে এক সপ্তাহ কিংবা দশ দিনের ছুটি থাকবে। অনেক ম্যাচ খেলেছে সে, অনেক দুশ্চিন্তা ছিল তার। তাই সে একটা ছুটি পাবে। সম্ভবত সে নতুন বছরের আগে (ফিরে আসবে)…’