ঢাকা ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল পটুয়াখালীতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়া স্মৃতি পদক পেলেন জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজশাহী জেলার সদস্য সচিব গণতন্ত্রের স্বার্থেই নির্বাচন জরুরি : যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না তাঁতীলীগের সভাপতি ইকবালের যত কান্ড, জনমনে প্রশ্ন কে এই ইকবাল? সিএমপির পাহাড়তলী থানার মাদক বিরোধী অভিযানে ভুয়া সাংবাদিক ফারুক মাদকসহ গ্রেফতার অন্তর্বতী সরকারের ১শ দিন পার হলেও সচিবালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরের এখনও আওয়ামী লীগের দোসরা বহাল পূর্বাচলে দুর্নীতির রাজত্ব গড়েছেন নায়েব আলী শরীফ ডঃ মোশাররফ ফাউন্ডেশন কলেজ নবীনবরণ উৎসব ২০২৪ পালিত। মুগদায় ১০ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

চীনের দৃষ্টি স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির দিকে

গত ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর চীনের বার্ষিক কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক কর্ম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে বেইজিংয়ে। এতে চীনের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার পাশাপাশি ২০২৩ সালের অর্থনৈতিক পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে।

আগামী বছর চীনের অর্থনীতি কোন পথে পরিচালিত হবে— তার ওপর নজর রাখছে সারা বিশ্ব। সম্মেলনে বলা হয়েছে,  আগামী বছর চীনের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রচেষ্টা চালানো হবে। গুণগত মানের উন্নয়নের পাশাপাশি পরিমাণের উপযোগী প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা হবে। সার্বিক সমাজতান্ত্রিক আধুনিক দেশ গঠনের জন্য ভালো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এসব কথায় আগামী বছর চীনের অর্থনীতি কোন পথে পরিচালিত হবে-তার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। শনিবার চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) এক সম্পাদকীয়তে এসব লেখা হয়েছে।

সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, সম্মেলনের প্রতিবেদনে মোট ৩১ বার ‘স্থিতিশীলতা’ শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে।  এতে চীনের প্রতি বিশ্বের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেশ কয়েকটি জরিপ থেকে জানা গেছে, বেশ কিছু কারণে ২০২২ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি শিথিল হয়েছে। ২০২৩ সালে তা আরও সংঙ্কুচিত হবে। ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার গত জুন মাসের পূর্বাভাষ তথা ৩ শতাংশ থেকে কমে ১.৯ শতাংশে নেমে আসবে। এমন প্রেক্ষাপটে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক সত্তা হিসেবে চীনের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা খুব তাত্পর্যপূর্ণ।

কর্মসম্মেলনে বলা হয়েছে,  চীনের অর্থনীতিতে রয়েছে শক্ত বলিষ্ঠতা,  সম্ভাবনা এবং প্রাণচাঞ্চল্য। বিভিন্ন নীতি বাস্তবায়নের সাফল্যও দৃশ্যমান হচ্ছে। আগামী বছর চীনের অর্থনীতি স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আগামী বছর অর্থনৈতিক কার্যক্রমে করোনা প্রতিরোধ এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সমন্বয় করা হবে। ফলে চীনের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের গতি দ্রুততর হবে এবং বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে পর্যাপ্ত চালিকাশক্তি যোগাবে চীন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল

চীনের দৃষ্টি স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির দিকে

আপডেট সময় ০১:৫৩:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২২

গত ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর চীনের বার্ষিক কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক কর্ম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে বেইজিংয়ে। এতে চীনের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার পাশাপাশি ২০২৩ সালের অর্থনৈতিক পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে।

আগামী বছর চীনের অর্থনীতি কোন পথে পরিচালিত হবে— তার ওপর নজর রাখছে সারা বিশ্ব। সম্মেলনে বলা হয়েছে,  আগামী বছর চীনের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রচেষ্টা চালানো হবে। গুণগত মানের উন্নয়নের পাশাপাশি পরিমাণের উপযোগী প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা হবে। সার্বিক সমাজতান্ত্রিক আধুনিক দেশ গঠনের জন্য ভালো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এসব কথায় আগামী বছর চীনের অর্থনীতি কোন পথে পরিচালিত হবে-তার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। শনিবার চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) এক সম্পাদকীয়তে এসব লেখা হয়েছে।

সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, সম্মেলনের প্রতিবেদনে মোট ৩১ বার ‘স্থিতিশীলতা’ শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে।  এতে চীনের প্রতি বিশ্বের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেশ কয়েকটি জরিপ থেকে জানা গেছে, বেশ কিছু কারণে ২০২২ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি শিথিল হয়েছে। ২০২৩ সালে তা আরও সংঙ্কুচিত হবে। ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার গত জুন মাসের পূর্বাভাষ তথা ৩ শতাংশ থেকে কমে ১.৯ শতাংশে নেমে আসবে। এমন প্রেক্ষাপটে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক সত্তা হিসেবে চীনের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা খুব তাত্পর্যপূর্ণ।

কর্মসম্মেলনে বলা হয়েছে,  চীনের অর্থনীতিতে রয়েছে শক্ত বলিষ্ঠতা,  সম্ভাবনা এবং প্রাণচাঞ্চল্য। বিভিন্ন নীতি বাস্তবায়নের সাফল্যও দৃশ্যমান হচ্ছে। আগামী বছর চীনের অর্থনীতি স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আগামী বছর অর্থনৈতিক কার্যক্রমে করোনা প্রতিরোধ এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সমন্বয় করা হবে। ফলে চীনের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের গতি দ্রুততর হবে এবং বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে পর্যাপ্ত চালিকাশক্তি যোগাবে চীন।