তিনি হয়তো এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ। হবেনই না কেন, জীবন যে পূর্ণতা পেয়েছে তার। ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় এসে ধরা দিল জীবনের সেরা অর্জন। পেয়ে গেলেন আরাধ্য বিশ্বকাপ ট্রফি। রোববার রাতে ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালেও নিজেকে উজাড় করে দিলেন লিওনেল মেসি। গোল করলেন, জেতালেন দলকে। এই ম্যাচেই মেসি গড়েছেন একাধিক রেকর্ড।
কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালের আগে ছয় ম্যাচে ৫ গোল পেয়ে গিয়েছিলেন মেসি। একটা অর্জনের হাতছানি ছিল লুসাইল স্টেডিয়ামে।
আর্জেন্টিনার জার্সিতে আর দুটি গোল করলেই হয়ে যেতো ‘সেঞ্চুরি’। বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচেই সেই মাইলফলক ছুঁয়ে স্পর্শ করলেন মেসি। অতিরিক্ত সময়ে ১০৮ মিনিটে কাছের এসে পেয়ে যান দ্বিতীয় গোলের দেখা। তার ধরেই নামের পাশে লেখা হয়ে যায় শত গোল।
রোববার ফাইনালে মাঠে নেমেই অবশ্য একটা রেকর্ড নিজের করে ফেলেন তিনি। একাদশে নাম উঠতেই পেছনে ফেলেন জার্মান কিংবদন্তি লুথার ম্যাথাউসকে। তাকে টপকে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েন মেসি (২৬)।
এরপর ফাইনালের ২৩তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন তিনি। প্রথম ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব আর নকআউটের প্রতি ম্যাচেই গোলের অনন্য রেকর্ডটাও হয়ে যায় তার। পরে আরেকটা গোল করতেই পেছনে ফেলেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি পেলেকে। পাঁচ বিশ্বকাপে ১৩ গোল আর্জেন্টাইন ক্যাপ্টেনের। ১২ গোল করা পেলে চলে গেলেন পেছনে। ফ্রান্সের জ্যা ফতেইয়ের সঙ্গে যৌথভাবে চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতা মেসি। তার ওপরে তিনজন- মিরোস্লাভ ক্লোসা (১৬), রোনালদো (১৫) ও গার্ড মুলার (১৪)।
একইসঙ্গে ফাইনালের ২৪তম মিনিট অতিক্রান্ত হতেই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি সময় খেলার রেকর্ড ভাঙেন। যে রেকর্ডটি আগে ছিল ইতালির কিংবদন্তি পাওলো মালদিনির। তিনি খেলেছেন ২২১৭ মিনিট।