ক্রোয়েশিয়ার আগের ম্যাচটাও গড়িয়েছিল পেনাল্টি শ্যুট আউটে, গড়াল গত রাতেও। তবে আগের ম্যাচের সঙ্গে এই ম্যাচের পার্থক্যটা হচ্ছে, ক্রোয়াটরা আগের ম্যাচে হারিয়েছিল জাপানকে, আর শেষ আটে দলটির প্রতিপক্ষ ছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।
প্রতিপক্ষ বদলে গেলেও ক্রোয়াটদের নায়ক বদলায়নি। সেই ডমিনিক লিভাকোভিচই ত্রাতা হয়ে এলেন গেল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্টদের। তাতে ব্রাজিলের হেক্সা স্বপ্নটাও ভেঙে চুরমার হয়ে গেল রীতিমতো।
পুরো ম্যাচে সেভ দিয়েছেন ১১বার, যার মধ্যে বক্সের ভেতর থেকে শট ছিল ৭টি। নেইমারের ১০৪ মিনিটের গোলটা ঠেকাতে পারেননি। তবে এর আগে পরে যা করেছেন, তাতে তিনি অনেকটা একা হাতে ক্রোয়াটদের নিয়ে যান টাইব্রেকারে।
সেখানে আরও এক প্রস্থ লিভাকোভিচ-বীরত্ব। পেনাল্টি শ্যুটআউটে ব্রাজিলের প্রথম শট নিতে আসা রদ্রিগো গোয়েজের পেনাল্টিটা তিনি দেন ঠেকিয়ে। তাতে শুরুতেই ব্রাজিলের ওপর চলে আসে চাপটা। যার ফলে শেষে মারকিনিয়োসও পেনাল্টিটা মিস করে বসেন। যার ফলে ব্রাজিলের স্বপ্ন ভেঙে ক্রোয়েশিয়া চলে যায় শেষ চারে।
দলটির প্রতিপক্ষ এবার দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে জেতা আর্জেন্টিনা। তবে এবার লিভাকোভিচ বলছেন, হতে পারে যে কোনো কিছুই। তার কথা, ‘আগের ম্যাচেই আমি বলেছিলাম, প্রতি ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই। আমরা লড়তে চাই, সমর্থকদের মনও ভরাতে চাই। এখন যে কোনো কিছু সম্ভব।’