ইনভেস্টোপিয়া ফিউচার অব স্পোর্টস সম্মেলনে এসব কথা বলেন কাতারের অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিশ্বকাপ ও এক্সপো ২০২০-এর মতো বড় প্রতিযোগিতা মানুষকে এক কাতারে নিয়ে আসার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যকে ইতিবাচক আলোয় দেখাতে পারে। তিনি বলেন, ‘ক্রীড়ায় বিনিয়োগ করলে পর্যটন বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন প্রতিভার সন্ধান পাওয়া যায়। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় এবং অবকাঠামো গড়ে ওঠে। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার যে এ ধরনের সম্ভাবনা থাকে, তা দেখে আমরা আনন্দিত।’
২০২২ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে তা দাঁড়াতে পারে ৭ শতাংশ। গত দুই বছরে আরব আমিরাতে বেশ কিছু অর্থনৈতিক সংস্কার হয়েছে, যেমন ভিসা সংস্কার ও শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ার সুযোগ। এসবের বদৌলতে গত দুই বছরে আরব আমিরাত অর্থনৈতিকভাবে ভালো করেছে।
এদিকে আগামী ২০২৬ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলে ৪৮টি দল অংশ নেবে। ফলে আরব আমিরাতের মতো দেশ মনে করছে, সেবার তারা বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেতে পারে। পাশাপাশি ভারত ও চীনের মতো দেশও খেলার সুযোগ পেতে পারে।
বিষয়টি হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আরব আমিরাতের অর্থের অভাব নেই। তারা ক্রীড়া উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে মুখিয়ে আছে। ইতিমধ্যে লা লিগার সঙ্গে আরব আমিরাতের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের চুক্তি হয়েছে। স্প্যানিশ ফুটবল কর্তৃপক্ষ এই চুক্তির আওতায় আরব আমিরাতের অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সী ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ দেবে।
এদিকে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ জানিয়েছে, তারা দুবাইয়ে আন্তর্জাতিক মানের থিম পার্ক চালু করবে। এ ছাড়া এশিয়ার দেশের বিনিয়োগকারীরা এখন ইউরোপের বিভিন্ন ক্লাবে বিনিয়োগ করছেন।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, মধ্যপ্রাচ্যসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ইউরোপের ফুটবল ক্লাব ও সংস্থার যে সংযোগ স্থাপিত হচ্ছে, তার হাত ধরে ফুটবলের আরও বিশ্বায়ন হবে। ফুটবল আরও ছড়িয়ে পড়বে। ফলে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে ৪৮ দলকে খেলার সুযোগ দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা ফুটবলের বিশ্বায়নের পালে আরও হাওয়া দেবে।