ঢাকা ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল পটুয়াখালীতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়া স্মৃতি পদক পেলেন জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজশাহী জেলার সদস্য সচিব গণতন্ত্রের স্বার্থেই নির্বাচন জরুরি : যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না তাঁতীলীগের সভাপতি ইকবালের যত কান্ড, জনমনে প্রশ্ন কে এই ইকবাল? সিএমপির পাহাড়তলী থানার মাদক বিরোধী অভিযানে ভুয়া সাংবাদিক ফারুক মাদকসহ গ্রেফতার অন্তর্বতী সরকারের ১শ দিন পার হলেও সচিবালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরের এখনও আওয়ামী লীগের দোসরা বহাল পূর্বাচলে দুর্নীতির রাজত্ব গড়েছেন নায়েব আলী শরীফ ডঃ মোশাররফ ফাউন্ডেশন কলেজ নবীনবরণ উৎসব ২০২৪ পালিত। মুগদায় ১০ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

বিশ্ববাজারে স্ক্র্যাপের দাম কমলেও দেশে রডের দর কমছে না কেন

৮ বছরের আগে নতুন গাড়ি পাবেন না ব্যাংকের চেয়ারম্যান-এমডি

ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় কাঁচামাল আমদানি এবং বিক্রয় পর্যায়ে শুল্ক ও কর কমানোর সুপারিশ করেছ সরকারের ট্রেড ও ট্যারিফ কমিশন। সম্প্রতি কমিশনের পক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমএস পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল এমএস স্ক্র্যাপ আমদানিতে অগ্রিম আয়কর যথাযথভাবে সমন্বয়ের লক্ষ্যে টনপ্রতি ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০ টাকা করা যেতে পারে। একই সঙ্গে রডের বিক্রয় পর্যায়ের কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার সুপারিশও করেছে সরকারি সংস্থাটি।

ট্যারিফ কমিশনের এই প্রতিবেদনে মোট ৮ দফা সুপারিশ করা হয়। এতে বলা হয়, স্ক্র্যাপের দর আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভরশীল। সে জন্য স্থানীয় বাজারে পণ্যের দাম যথাযথভাবে সমন্বয়ের জন্য নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক বাজারদরের সঙ্গে তা সমন্বয় করতে হবে। এ ছাড়া কোম্পানিগুলো দাম বাড়ানোর আগে সরকারকে অবহিত করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করেছে কমিশন।

দেশীয় এয়ারলাইনসের বিকাশে বাধা সরকারি নীতি, জ্বালানির দাম

কমিশন আরও বলেছে, ইস্পাতশিল্পের স্থানীয় মূল্য সংযোজনের বড় অংশ নির্ভর করে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহের ওপর। সে জন্য স্থানীয় উৎপাদন ব্যয় স্থিতিশীল রাখার জন্য বিদ্যুৎ ও গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিতের পদক্ষেপ নিতে হবে।

ইস্পাত খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, রডের মূল্যবৃদ্ধির বড় দুটি কারণ হচ্ছে, গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট। এতে কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। উৎপাদন সক্ষমতার পুরোটা কাজে লাগাতে পারছে না কোম্পানিগুলো। পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ডলারের সাপেক্ষে টাকার অবমূল্যায়ন। এতে কাঁচামাল আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলায় জটিলতা বেড়েছে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, বাজারে এখন প্রতি টন ৬০ গ্রেডের রডের দাম পড়ছে ৮৫ হাজার ৫০০ থেকে ৯৩ হাজার ৫০০ টাকা। আর ৪০ গ্রেডের রড বিক্রি হচ্ছে ৮৩ হাজার থেকে ৮৫ হাজার টাকার মধ্যে। শীতকাল নির্মাণকাজের ভরা মৌসুম।

টাকার জন্য দৌড়ঝাঁপ শরিয়াহ ব্যাংকগুলোর

ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে দেশে রডের চাহিদা প্রায় ৭২ লাখ টন। উৎপাদন সক্ষমতা ৯০ লাখ টন। বড় কয়েকটি ইস্পাত কারখানা এই চাহিদার ৫০ শতাংশ সরবরাহ করে থাকে। ইস্পাতের চাহিদার ৬০ শতাংশ সরকারি কাজে, গৃহনির্মাণে, ২৫ শতাংশ বাসাবাড়ি এবং বাকি ১৫ শতাংশ ব্যবহার হয় বাণিজ্যিক নির্মাণকাজে। বর্তমানে দেশে ছোট, বড় ও মাঝারি মিলিয়ে প্রায় ৪০০ ইস্পাত কারখানা আছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল

বিশ্ববাজারে স্ক্র্যাপের দাম কমলেও দেশে রডের দর কমছে না কেন

আপডেট সময় ০১:৪১:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

৮ বছরের আগে নতুন গাড়ি পাবেন না ব্যাংকের চেয়ারম্যান-এমডি

ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় কাঁচামাল আমদানি এবং বিক্রয় পর্যায়ে শুল্ক ও কর কমানোর সুপারিশ করেছ সরকারের ট্রেড ও ট্যারিফ কমিশন। সম্প্রতি কমিশনের পক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমএস পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল এমএস স্ক্র্যাপ আমদানিতে অগ্রিম আয়কর যথাযথভাবে সমন্বয়ের লক্ষ্যে টনপ্রতি ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০ টাকা করা যেতে পারে। একই সঙ্গে রডের বিক্রয় পর্যায়ের কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার সুপারিশও করেছে সরকারি সংস্থাটি।

ট্যারিফ কমিশনের এই প্রতিবেদনে মোট ৮ দফা সুপারিশ করা হয়। এতে বলা হয়, স্ক্র্যাপের দর আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভরশীল। সে জন্য স্থানীয় বাজারে পণ্যের দাম যথাযথভাবে সমন্বয়ের জন্য নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক বাজারদরের সঙ্গে তা সমন্বয় করতে হবে। এ ছাড়া কোম্পানিগুলো দাম বাড়ানোর আগে সরকারকে অবহিত করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করেছে কমিশন।

দেশীয় এয়ারলাইনসের বিকাশে বাধা সরকারি নীতি, জ্বালানির দাম

কমিশন আরও বলেছে, ইস্পাতশিল্পের স্থানীয় মূল্য সংযোজনের বড় অংশ নির্ভর করে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহের ওপর। সে জন্য স্থানীয় উৎপাদন ব্যয় স্থিতিশীল রাখার জন্য বিদ্যুৎ ও গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিতের পদক্ষেপ নিতে হবে।

ইস্পাত খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, রডের মূল্যবৃদ্ধির বড় দুটি কারণ হচ্ছে, গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট। এতে কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। উৎপাদন সক্ষমতার পুরোটা কাজে লাগাতে পারছে না কোম্পানিগুলো। পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ডলারের সাপেক্ষে টাকার অবমূল্যায়ন। এতে কাঁচামাল আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলায় জটিলতা বেড়েছে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, বাজারে এখন প্রতি টন ৬০ গ্রেডের রডের দাম পড়ছে ৮৫ হাজার ৫০০ থেকে ৯৩ হাজার ৫০০ টাকা। আর ৪০ গ্রেডের রড বিক্রি হচ্ছে ৮৩ হাজার থেকে ৮৫ হাজার টাকার মধ্যে। শীতকাল নির্মাণকাজের ভরা মৌসুম।

টাকার জন্য দৌড়ঝাঁপ শরিয়াহ ব্যাংকগুলোর

ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে দেশে রডের চাহিদা প্রায় ৭২ লাখ টন। উৎপাদন সক্ষমতা ৯০ লাখ টন। বড় কয়েকটি ইস্পাত কারখানা এই চাহিদার ৫০ শতাংশ সরবরাহ করে থাকে। ইস্পাতের চাহিদার ৬০ শতাংশ সরকারি কাজে, গৃহনির্মাণে, ২৫ শতাংশ বাসাবাড়ি এবং বাকি ১৫ শতাংশ ব্যবহার হয় বাণিজ্যিক নির্মাণকাজে। বর্তমানে দেশে ছোট, বড় ও মাঝারি মিলিয়ে প্রায় ৪০০ ইস্পাত কারখানা আছে।