৮ বছরের আগে নতুন গাড়ি পাবেন না ব্যাংকের চেয়ারম্যান-এমডি
ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় কাঁচামাল আমদানি এবং বিক্রয় পর্যায়ে শুল্ক ও কর কমানোর সুপারিশ করেছ সরকারের ট্রেড ও ট্যারিফ কমিশন। সম্প্রতি কমিশনের পক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমএস পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল এমএস স্ক্র্যাপ আমদানিতে অগ্রিম আয়কর যথাযথভাবে সমন্বয়ের লক্ষ্যে টনপ্রতি ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০ টাকা করা যেতে পারে। একই সঙ্গে রডের বিক্রয় পর্যায়ের কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার সুপারিশও করেছে সরকারি সংস্থাটি।
ট্যারিফ কমিশনের এই প্রতিবেদনে মোট ৮ দফা সুপারিশ করা হয়। এতে বলা হয়, স্ক্র্যাপের দর আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভরশীল। সে জন্য স্থানীয় বাজারে পণ্যের দাম যথাযথভাবে সমন্বয়ের জন্য নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক বাজারদরের সঙ্গে তা সমন্বয় করতে হবে। এ ছাড়া কোম্পানিগুলো দাম বাড়ানোর আগে সরকারকে অবহিত করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করেছে কমিশন।
দেশীয় এয়ারলাইনসের বিকাশে বাধা সরকারি নীতি, জ্বালানির দাম
কমিশন আরও বলেছে, ইস্পাতশিল্পের স্থানীয় মূল্য সংযোজনের বড় অংশ নির্ভর করে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহের ওপর। সে জন্য স্থানীয় উৎপাদন ব্যয় স্থিতিশীল রাখার জন্য বিদ্যুৎ ও গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিতের পদক্ষেপ নিতে হবে।
ইস্পাত খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, রডের মূল্যবৃদ্ধির বড় দুটি কারণ হচ্ছে, গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট। এতে কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। উৎপাদন সক্ষমতার পুরোটা কাজে লাগাতে পারছে না কোম্পানিগুলো। পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ডলারের সাপেক্ষে টাকার অবমূল্যায়ন। এতে কাঁচামাল আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলায় জটিলতা বেড়েছে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, বাজারে এখন প্রতি টন ৬০ গ্রেডের রডের দাম পড়ছে ৮৫ হাজার ৫০০ থেকে ৯৩ হাজার ৫০০ টাকা। আর ৪০ গ্রেডের রড বিক্রি হচ্ছে ৮৩ হাজার থেকে ৮৫ হাজার টাকার মধ্যে। শীতকাল নির্মাণকাজের ভরা মৌসুম।
টাকার জন্য দৌড়ঝাঁপ শরিয়াহ ব্যাংকগুলোর
ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে দেশে রডের চাহিদা প্রায় ৭২ লাখ টন। উৎপাদন সক্ষমতা ৯০ লাখ টন। বড় কয়েকটি ইস্পাত কারখানা এই চাহিদার ৫০ শতাংশ সরবরাহ করে থাকে। ইস্পাতের চাহিদার ৬০ শতাংশ সরকারি কাজে, গৃহনির্মাণে, ২৫ শতাংশ বাসাবাড়ি এবং বাকি ১৫ শতাংশ ব্যবহার হয় বাণিজ্যিক নির্মাণকাজে। বর্তমানে দেশে ছোট, বড় ও মাঝারি মিলিয়ে প্রায় ৪০০ ইস্পাত কারখানা আছে।