নির্দিষ্ট সময় পার হলে প্লাস্টিকের বোতল বা প্লাস্টিকের পাত্রে পানি বা খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কোনো প্লাস্টিকের বোতল বা পাত্র কত দিন ব্যবহার করা যেতে পারে তা ওই পালস্টিকের পাত্রের গায়ে লেখা থাকে। একটু খেয়াল করে দেখবেন, বোতল বা প্লাস্টিকের পাত্রের নিচে বা পাশে ত্রিভুজাকৃতির তীর চিহ্ন দিয়ে লেখা থাকে। ১ থেকে ৭-এর মধ্যে থাকে এই নম্বর।
এই কোড বা নম্বরকে রেজিন আইডেন্টিফিকেশন কোড বলা হয়।
১. প্লাস্টিকের পাত্রের গায়ে ‘১’-এর অর্থ হলো, পাত্রটি পলিথাইলিন টেরেপথ্যালেট ধরনের পলিথিন দিয়ে তৈরি। এই প্লাস্টিকের পাত্রগুলো মাত্র একবারই ব্যবহারযোগ্য।
২. প্লাস্টিকের পাত্রে ‘২’ লেখার অর্থ, ঘন, অস্বচ্ছ পলিথিন বা এইচডিপিই ধরনের পলিথিন দিয়ে তৈরি। এ ধরনের পলিথিন দিয়ে শ্যাম্পু, ডিটারজেন্ট, টয়লেট ক্লিনারের বোতল তৈরি করা হয়।
৩. প্লাস্টিকের পাত্রের গায়ে ‘৩’ লেখা থাকা মানে বোঝায়, এ ধরনের পাত্র পলিভিনিল ক্লোরাইড বা পিভিসি দিয়ে বানানো। খাবারের শক্ত মোড়ক বা রান্নার তেলের পাত্র এই ধরনের পলিথিন দিয়ে তৈরি করা হয়।
৪. ‘৪’ লেখা থাকলে এ ধরনের পাত্র এলডিপিই ধরনের পলিথিন দিয়ে তৈরি। এই ধরনের পাত্রে একাধিকবার পানীয় বা খাবার রাখা যেতে পারে। এগুলো এক সপ্তাহের বেশি ব্যবহার না করাই ভালো।
৫. প্লাস্টিকের গায়ে ‘৫’ লেখা থাকলে এর অর্থ হলো, এই ধরনের পাত্র ব্যবহার করা নিরাপদ। পানির বোতল, সসের বোতল বা সিরাপের বোতল এই ধরনের প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয়।
৬. পাত্রের নিচে বা সেটির গায়ে ‘৬’ লেখা থাকলে তার অর্থ হলো, এই ধরনের পাত্র পলিস্টিরিন বা স্টাইরোফোম জাতীয় উপাদান দিয়ে তৈরি। এ ধরনের পলিথিন দিয়ে তৈরি পাত্রে খাবার গরম করা স্বাস্থ্যকর বা নিরাপদ নয়।
৭. পাত্রের গায়ে ‘৭’ লেখা থাকলে বুঝবেন, এ ধরনের পাত্র ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। খাবার বা পানীয় এ ধরনের প্লাস্টিকের পাত্রে রাখা একেবারেই উচিত নয়।