মিষ্টি খেলে সমস্যা! বাড়বে ওজন-আরো কত কী। ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকে মিষ্টি খেতেই ভয় পান। নানা উৎসবে মিষ্টি তো চাই-ই চাই। মিষ্টি ছাড়া বাঙালিদের চলে না।
অনেক ধরনের মিষ্টি পাওয়া যায়। কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবেন এ এক চিন্তার বিষয়। আবার খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে, এটাও আরেক চিন্তা। তবে জানেন কি প্রায় সব মিষ্টিরই কিছু বিশেষত্ব আছে। মিষ্টির যে শুধু খারাপ গুণ রয়েছে তা কিন্তু নয়। বরং খুঁজলে কয়েকটি ভালো গুণও পাবেন। চলুন জেনে নিই।
** এসিডিটির সমস্য়া বলতে গেলে বর্তমানে সবার। অস্বাস্থ্যকর তেলে ভাজা খাবার খেলে এই সমস্যা বাড়ে। মিষ্টি খেলে কিন্তু এই সমস্যা কিছুটা কমতে পারে।
** গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্টদের কথায়, মসলাদার, ঝাল ও তৈলাক্ত খাবার খেলে এসিডিটির সমস্যা বাড়ে। তবে এই ধরনের খাবার খাওয়ার পর সামান্য মিষ্টি খেলে এসিডিটির সমস্যা কম হয়।
** চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে পেটে এসিড ক্ষরণের পরিমাণ বেড়ে যায়। মিষ্টি এই ক্ষরণের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
** প্রতিদি পাতে একটু মিষ্টি খেলে কমবে ব্লাড প্রেশার। পাশাপাশি কার্ডিওভাসকুলার রোগের আশঙ্কাও কমে। হজম ভালো হয়।
** খাবার শেষে মিষ্টি খেলে শরীরে সেরিটোনিন নামের হরমোনের ক্ষরণ হয়। ফলে সুখ ও আনন্দের অনুভূতি তৈরি হয়।
** ভারী খাবার খাওয়ার পর শরীরে রক্তচাপ কমে যায়। ফলে অস্বস্তি তৈরি হতে পারে। কিন্তু মিষ্টি শরীরে রক্তচাপের ভারসাম্য তৈরি করতে পারে।
** ডার্ক চকোলেটের মতো বেশ কিছু ডেজার্টে থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং কোকো। যা স্ট্রোকের আশঙ্কা কমায়।
মিষ্টি খেলে কি ওজন বাড়ে?
ওজন বাড়ার মূল শত্রু ক্যালোরি। তাই মিষ্টি খেতে পারবেন, তবে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে। এর বেশি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
ডায়াবেটিক রোগীরা কী করবেন
ডায়াবেটিস হলে মিষ্টি একেবারেই খাওয়া যায় তা কিন্তু নয়। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি না হলে, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খাওয়া যায়।