ম্যাচের পুরোটা সময় দুই দলের খেলোয়াড়েরা বল দখলের লড়াই করে গেল। কিন্তু কোনো দলই ফিনিশিং করতে পারছিল না। গোলশূন্য ড্রয়ের পর ম্যাচ গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। সেই পর্বেও একই অবস্থা। কোনো দলই গোল করতে পারেনি। তাই শেষ আটের দল নির্ধারণ করতে আশ্রয় নিতে হলো পেনাল্টি শ্যুটআউটের। যাতে ৩-০ জিতে শেষ আট নিশ্চিত করে ফেলল মরক্কো। প্রথমবারের মতো তারা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল।
এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ৫ পরিবর্তন নিয়ে নেমেছিল লুইস এনরিকের স্পেন। শুরু থেকেই তারা সেই চিরপরিচিত ছোট ছোট পাসে খেলতে থাকে। বেশিরভাগ সময় বল তাদের দখলেই ছিল। কিন্তু উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না। একাদশ মিনিটে ফ্রি কিক পায় মরক্কো। কিন্তু আশরাফ হাকিমির শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। ৩৩তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মরক্কোর মাসাওয়ির জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমোন।
বিরতির আগে সোফিয়ান বুফালের ক্রসে কাছ থেকে নায়েফ আগের্দের হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। প্রথমার্ধে গোলের জন্য যে একটি শট নিতে পেরেছে স্পেন, সেটিও ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট! এটি বিশ্বকাপের ম্যাচের প্রথমার্ধে তাদের সবচেয়ে কম শট নেওয়ার রেকর্ড। এভাবেই শেষ হয় গোলশূন্য প্রথমার্ধ। দ্বিতীয়ার্ধটাও যেন প্রথমার্ধের অনুরূপ। এমনকী ম্যাচ অতিরিক্ত সময় গড়ালেও গোল হয়নি। অবশেষে পেনাল্টি শ্যুটআউটে ভাগ্য নির্ধারিত হয় মরক্কোর।
টাইব্রেকারে সারাবিয়ার শট পোস্টে লাগার পর কার্লোস সলের ও সের্হিও বুসকেতসের শট ঠেকান মরক্কোর গোলকিপার বোনো। স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমোনও একটি গোল সেভ করেন। চতুর্থ শটে মাদ্রিদে জন্ম নেওয়া আশরাফ হাকিমি বল স্পেনের জালে পাঠাতেই উল্লাসে মেতে ওঠে মরক্কো। এর আগে তারা একবারই বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বে খেলেছিল। ১৯৮৬ আসরে শেষ ষোলোয় জার্মানির বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছিল উত্তর আফ্রিকার দেশটি।