বিশ্বকাপ হবে, আর ব্রাজিল নিদেনপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে না, তা কী করে হয়? ১৯৯৪ সাল থেকে চলে আসা সেই রেওয়াজটা এবারও পালন করেছে ব্রাজিল। দক্ষিণ কোরিয়াকে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় হারিয়ে টানা সপ্তমবারের মতো পৌঁছে গেছে বিশ্বকাপের শেষ আটে।
তবে যে দলে আছেন নেইমারের মতো তারকা, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রিচার্লিসন, রাফিনিয়াদের মতো পারফর্মাররা, সেই দল কেন কোয়ার্টার ফাইনালে সন্তুষ্ট হবে? ব্রাজিলও এখানেই তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছে না। ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জেতার আগে ক্ষান্ত হতে চান না নেইমাররা। শেষ ষোলোয় কোরিয়াকে উড়িয়ে দেওয়ার পর নেইমার জানিয়ে দিলেন বিষয়টা। জানালেন, বিশ্বকাপ জিততে অপেক্ষাটা এখন তিন ম্যাচের।
আজ স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে ভিনিসিয়াসের গোলে গোল উৎসবের শুরু ব্রাজিলের। এরপর নেইমারের পেনাল্টির পর রিচার্লিসন আর লুকাস পাকেতার গোলে ৪-১ গোলের দাপুটে জয় পায় তিতের দল। পৌঁছে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে।
এরপরই নেইমার জানান, ‘আরও এগিয়ে যাওয়ার সময় এসে গেছে। আমরা কেবল শিরোপা জেতার স্বপ্নই দেখি। কিন্তু আমাদের এগোতে হবে ধাপে ধাপে। এটা আমাদের চতুর্থ ম্যাচ ছিল। বিশ্বকাপ জেতা থেকে আরও তিন দূরে আছি আমরা।’
বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্নের কথা শুধু নেইমারই বলছেন, বিষয়টা মোটেও তেমন নয়। শেষ ষোলোর এই ম্যাচে ব্রাজিলের অন্যতম নায়ক ভিনিসিয়াস জুনিয়রও বলেছেন একই কথা। তবে তিনি জানিয়েছেন কেন জিততে চান সে কারণটাও।
ব্রাজিলের কিংবদন্তি পেলে এখন অবস্থান করছেন হাসপাতালে, আছেন সংকটাপন্ন অবস্থায়। সেলেসাওদের প্রথম তিন বিশ্বকাপ জয়ের সারথী এমন পরিস্থিতিতে থেকেও সমর্থন দিচ্ছেন নেইমারদের। ভিনিসিয়াস জানালেন, তার কারণে হলেও বিশ্বকাপটা জিততে চায় ব্রাজিল।
তিনি বলেন, ‘আমি পেলেকে বড় একটা আলিঙ্গন পাঠাতে চাই, এই জয়টা তার জন্য। আমি আশা করছি, সবকিছু ঠিকঠাক হবে, তিনি এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন। আমরা তার জন্য চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।’
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য আরও তিন ধাপ পেরোনো বাকি ব্রাজিলের। তার প্রথম ধাপটা পেরোতে আগামী শুক্রবার মাঠে নামবেন নেইমাররা। এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনালের সেই লড়াইয়ে সেলেসাওদের প্রতিপক্ষ হবে গেল বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়া।