ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) চালানের ২৩তম লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। লটারিতে প্রথম পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত নম্বর হলো 002422WYSYDGW894।
ইএফডি চালানের লটারিতে প্রথম পুরস্কার ১ লাখ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা ও তৃতীয় পুরস্কার ২৫ হাজার টাকা (পাঁচটি)। এছাড়া চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে ৯৩ জনকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনআরবি) সম্মেলন কক্ষে ইএফডি চালানের লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে মোট ১০১ জন বিজয়ীর চালান নম্বর ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন এনবিআর সদস্য ( মূসক মূল্যায়ন ও বাস্তবায়ন) মইনুল খান।
নভেম্বর মাসের ১ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত চালানের ওপর এই লটারির ড্র অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সে হিসেবে পুরো নভেম্বর মাসে ইএফডি যন্ত্র ব্যবহার করে যারা কেনাকাটা করেছেন তাদের কেনাকাটার চালানপত্র কূপন হিসাবে লটারিতে ব্যবহার করা হয়।
এবারের ইএফডি লটারিতে প্রথম পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত নম্বর হলো- 002422CYOHGQL189
দ্বিতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত লটারির নম্বর হলো- 002122BJQIHFN855
তৃতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত লটারির নম্বরগুলো হলো- 000322FXONJCV597, 002222ZDDYGQS578, 004022ZHVDVJU021, 000022JXXTOFM438 ও 0020221QCVFIN616।
লটারির ড্র এনবিআরের ওয়েবসাইট প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া তিন কার্যদিবস পর পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে। পুরস্কার প্রাপ্তিতে সমস্যা হলে ০১৯৬৩৬৩৬৫৫৪ এ নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেছে এনবিআর।
ভ্যাট আদায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট ইএফডির উদ্বোধন করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। ২০২১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো ইএফডি চালানের লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
ইএফডি হলো আধুনিক হিসাবযন্ত্র। এটি ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টারের (ইসিআর) উন্নত সংস্করণ। এ যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত লেনদেন বা বিক্রির তথ্য জানতে পারছে এনবিআর। এর মধ্যে কত অংশ ভ্যাট তা জানা যাবে। ফলে ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ হবে এবং আদায় বাড়বে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের দৈনিক লেনদেনের তথ্য তদারকিতে এনবিআরের সার্ভারের সঙ্গে সফটওয়্যারের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকবে ইএফডি মেশিন। এজন্য ইতোমধ্যে সার্ভার স্থাপন করা হয়েছে।
২০২০ সালের ২৫ আগস্টে প্রাথমিকভাবে ৫টি কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট (ঢাকা উত্তর/দক্ষিণ/পূর্ব/পশ্চিম, চট্টগ্রাম) ইএফডি ও এসডিসি স্থাপন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। নভেম্বর পর্যন্ত মোট ৮ হাজার ৮৩০টি ইএফডি ও এসডিসি স্থাপন করা হয়েছে। ইএফডি ও এসডিসি স্থাপন কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে। ইএফডি ও এসডিসি মেশিন সরবরাহ, ব্যবহার এবং খুচরা পর্যায়ে আদায় করা ভ্যাটের তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে গত ৩ নভেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও জেনেক্স ইনফয়েস লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তির শর্তানুযায়ী আগামী পাঁচ বছরে ৩ লাখ ইএফডি এবং এসডিসি সরবরাহ ও স্থাপন করতে হবে। তিন লাখ মেশিন স্থাপন হলে অতিরিক্ত ২০ হাজার কোটি টাকা ভ্যাট আদায় হবে বলে মনে করে এনবিআর।