ঢাকা ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বড় কান্দিতে বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা, দুই গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থান চিত্র নায়ক থেকে রাজপথের নায়ক হেলাল খানের দক্ষ নেতৃত্বে আবারো প্রাণ ফিরে পাচ্ছে জাসাস গাংনীর চিৎলা পাটবীজ খামার যেন জেডি মোর্শেদুলের পৈত্রিক সম্পত্তি! নওগাঁর সাবেক এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার এর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা জুলাই অভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরণে ববি ছাত্রদলের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় জামায়াতের বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত ক্যাম্পাসের পুকুরে ভেসে উঠলো জুলাই যোদ্ধার লাশ রাজনৈতিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নাই : এ্যানী চৌধুরী শরীয়তপুরের জাজিরা পৌরসভায় মোবাইল কোর্ট  পরিচালনা করেছেন  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উন্নত স্বাস্থ্য সেবার অঙ্গীকার নিয়ে নিউ লাইফ মেডিকেল সার্ভিসের যাত্রা শুরু করলো
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় কার্যক্রম স্থগিত

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। সেই আদেশ অমান্য করে গত ৯ মে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নির্বাচনের আয়োজন করে সংগঠনটি। আদালতের আদেশ উপেক্ষা করায় ওই নির্বাচনের যাবতীয় কার্যক্রম ও ফলাফল স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত ১২ মে দ্বিতীয় সিনিয়র সহকারী জজ আদালত এ আদেশ দেন।

গঠনতন্ত্র না মেনে নির্বাচন আয়োজন করায় আদালতে মামলাটি করেন জ্যেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক ও সংগঠনের সাবেক নেতা বদিউল আলম খোকন। গত ৮ মে সমিতির নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন আদালত। সেই আদেশ ভঙ্গ করে ৯ মে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। আদালতের আদেশ ভঙ্গের অপরাধে (মিস ভায়োলেশন) নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বাচ্চুর নামে মামলা ও সমন জারি করা হয়েছে।

আদালতের স্থগিতাদেশ পাওয়ার পরও কেন নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন? জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বাচ্চু জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিসে ছিলাম। এই সময়ের মধ্যে আমাদের হাতে কোনো কাগজপত্র আসেনি। এ কারণে আমরা নির্বাচন স্থগিত করিনি।’

জানা গেছে, মূলত ৮ মে সন্ধ্যার পর আদালত থেকে ওই স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। ঢাকা জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফরহাদ হোসেন নিয়ন জানান, আদালত থেকে জারিকারক আব্দুল লতিফ বাচ্চুর বাসায় গিয়ে স্থগিতাদেশ পৌঁছে দিয়েছেন। এর পরও তারা নির্বাচনের আয়োজন করতে পারেন না। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘এরকম কোনো আইন নেই যে বিকেল ৫টার মধ্যে তার অফিসে কাগজ পৌঁছাতে হবে। গত ৮ মে রাত ১০টার দিকে জারিকারক আদালত থেকে বিবাদীর বাসায় আদালতের স্থগিতাদেশ পৌঁছে দেন। বারবার ফোন করে তার বাসার ঠিকানা নেওয়া হয়েছিল। আইন হচ্ছে, ভোটগ্রহণ শুরু করার ১ মিনিট আগেও যদি তিনি আদেশ হাতে পান, তখনই সেটি বলবৎ হবে। তারা স্পষ্টত আইন লঙ্ঘন করেন।’
কেন এই মামলা
নির্বাচন স্থগিতাদেশ চেয়ে কেন মামলা করলেন? মামলার বাদী বদিউল আলম খোকন জাগো নিউজকে বলেন, ‘গঠনতন্ত্র অমান্য করে এই নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছিল। সংগঠনের কোনো উপদেষ্টা পরিষদ নেই, তাহলে নির্বাচন কমিশন কার নির্দেশে কাজ করবে? এর সবকিছু শাহীন সুমনরা পরিচালনা করেছেন, কিন্তু তারা এটা করতে পারেন না। এটা অন্যায়। কাউকে না কাউকে তো অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। আমি দীর্ঘদিন এই সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলাম। দায়িত্ববোধের জায়গা থেকেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে সাধারণ সদস্য হিসেবে মামলা করেছি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জ্যেষ্ঠ নির্মাতা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এখন সাধারণ সভা করতে হবে। সেখানে সাধারণ সদস্যরা যেভাবে বলবে, সেটাই আইন। সংগঠনের জন্য যা কিছু করতে হবে, নিয়ম মেনেই করতে হবে। ঠিকঠাক মতো নির্বাচন করতে হবে।’

এর আগেও পরিচালক সমিতির দ্বিবার্ষিক এ নির্বাচন নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানান কথা শোনা গিয়েছিল। এক পক্ষের দাবি, কেপিআইভুক্ত এলাকা বলে বিএফডিসিতে নির্বাচনের অনুমতি পাওয়া যায়নি। আরেকটি পক্ষ বলছে অন্য কথা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক চলচ্চিত্র পরিচালক বলেন, একটি পক্ষ নির্বাচন হতে দিতে চায় না। কারণ, দুই প্যানেলেই স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সমর্থক পরিচালকরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ কারণেই বারবার নির্বাচন স্থগিত হচ্ছে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বড় কান্দিতে বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা, দুই গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থান

চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় কার্যক্রম স্থগিত

আপডেট সময় ০৯:২২:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। সেই আদেশ অমান্য করে গত ৯ মে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নির্বাচনের আয়োজন করে সংগঠনটি। আদালতের আদেশ উপেক্ষা করায় ওই নির্বাচনের যাবতীয় কার্যক্রম ও ফলাফল স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত ১২ মে দ্বিতীয় সিনিয়র সহকারী জজ আদালত এ আদেশ দেন।

গঠনতন্ত্র না মেনে নির্বাচন আয়োজন করায় আদালতে মামলাটি করেন জ্যেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক ও সংগঠনের সাবেক নেতা বদিউল আলম খোকন। গত ৮ মে সমিতির নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন আদালত। সেই আদেশ ভঙ্গ করে ৯ মে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। আদালতের আদেশ ভঙ্গের অপরাধে (মিস ভায়োলেশন) নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বাচ্চুর নামে মামলা ও সমন জারি করা হয়েছে।

আদালতের স্থগিতাদেশ পাওয়ার পরও কেন নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন? জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বাচ্চু জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিসে ছিলাম। এই সময়ের মধ্যে আমাদের হাতে কোনো কাগজপত্র আসেনি। এ কারণে আমরা নির্বাচন স্থগিত করিনি।’

জানা গেছে, মূলত ৮ মে সন্ধ্যার পর আদালত থেকে ওই স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। ঢাকা জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফরহাদ হোসেন নিয়ন জানান, আদালত থেকে জারিকারক আব্দুল লতিফ বাচ্চুর বাসায় গিয়ে স্থগিতাদেশ পৌঁছে দিয়েছেন। এর পরও তারা নির্বাচনের আয়োজন করতে পারেন না। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘এরকম কোনো আইন নেই যে বিকেল ৫টার মধ্যে তার অফিসে কাগজ পৌঁছাতে হবে। গত ৮ মে রাত ১০টার দিকে জারিকারক আদালত থেকে বিবাদীর বাসায় আদালতের স্থগিতাদেশ পৌঁছে দেন। বারবার ফোন করে তার বাসার ঠিকানা নেওয়া হয়েছিল। আইন হচ্ছে, ভোটগ্রহণ শুরু করার ১ মিনিট আগেও যদি তিনি আদেশ হাতে পান, তখনই সেটি বলবৎ হবে। তারা স্পষ্টত আইন লঙ্ঘন করেন।’
কেন এই মামলা
নির্বাচন স্থগিতাদেশ চেয়ে কেন মামলা করলেন? মামলার বাদী বদিউল আলম খোকন জাগো নিউজকে বলেন, ‘গঠনতন্ত্র অমান্য করে এই নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছিল। সংগঠনের কোনো উপদেষ্টা পরিষদ নেই, তাহলে নির্বাচন কমিশন কার নির্দেশে কাজ করবে? এর সবকিছু শাহীন সুমনরা পরিচালনা করেছেন, কিন্তু তারা এটা করতে পারেন না। এটা অন্যায়। কাউকে না কাউকে তো অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। আমি দীর্ঘদিন এই সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলাম। দায়িত্ববোধের জায়গা থেকেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে সাধারণ সদস্য হিসেবে মামলা করেছি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জ্যেষ্ঠ নির্মাতা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এখন সাধারণ সভা করতে হবে। সেখানে সাধারণ সদস্যরা যেভাবে বলবে, সেটাই আইন। সংগঠনের জন্য যা কিছু করতে হবে, নিয়ম মেনেই করতে হবে। ঠিকঠাক মতো নির্বাচন করতে হবে।’

এর আগেও পরিচালক সমিতির দ্বিবার্ষিক এ নির্বাচন নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানান কথা শোনা গিয়েছিল। এক পক্ষের দাবি, কেপিআইভুক্ত এলাকা বলে বিএফডিসিতে নির্বাচনের অনুমতি পাওয়া যায়নি। আরেকটি পক্ষ বলছে অন্য কথা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক চলচ্চিত্র পরিচালক বলেন, একটি পক্ষ নির্বাচন হতে দিতে চায় না। কারণ, দুই প্যানেলেই স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সমর্থক পরিচালকরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ কারণেই বারবার নির্বাচন স্থগিত হচ্ছে।